আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই কে আছস, দুইডা প্যারাসিটামল দে, এখুনি।



আচ্ছা শুনলাম, বিএনপি নাকি বিগত ২০০৬ সালের মতই এবারও আবার নির্বাচন কালীন সরকারকে দলীয় কুক্ষিগত করতে চাইছে! কস কি? ওরাতো ঐবার বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে নিজেদের প্রতি সহানুভুতিশীল বিচারপতি কে এম হাসান কে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চাইছিল, তারপর বিরোধী দলের চাপে সেটা না পেরে দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকে দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সব অপকর্মই করেছিলো! হ্যা, হ্যা। তাইতো, এবারও তাই চাইছে। খাড়া, খাড়া, বিএনপিতো এবার ক্ষমতায় নাই, ওরা কেমনে চায় এইডা। চাইলেই কি সম্ভব নাকি! তাইলে কি চায় ওরা? ওরাতো চায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সবার কাছে গ্রহনযোগ্য তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। খাড়া, একটুখানি বুইঝা লই।

ঐডা হইলে কি ওরা ইলেকশন ম্যানিপুলেট করতে পারবো? ক্যামনে পারবো, ঐডা দিয়াইতো এরশাদের সময় বিএনপি, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগের সময় বিএনপি নির্বাচনে জিতে আইছিলো। আর ঐডা যখন ছিল না তখন কি অইছিলো? আরে মিয়া সব ভুইলা গেছ, দেখছি। ঐডা মানে তত্বাবধায়ক ছাড়া এই দেশে যখনই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অইছে, ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী লীগ, ১৯৭৯ সালে বিএনপির সময় বিএনপি, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টিই জিতে ক্ষমতায় গেছে। কোন বিরোধীদলের পক্ষেই নির্বাচনে জেতা সম্ভব হয় নাই। আরে মিয়া, ঐ সময়কার পত্রিকা খুলে দেখ না, ওইগুলার প্রত্যেকটা ইলেকশন নিয়া কেমন জুয়াচুরি হইছে, পুরান পেপার গুলা খুইলা দেখ না ক্যান।

তাইলে বুঝা যাইতেছে, তত্বাবধায়ক সরকারই একমাত্র ভাল ইলেকশন এইদেশে উপহার দিছে গত চল্লিশ বছরে! কি কও? হ, তাইতো। তয় তারপরওতো যারা হারছে, তারা সু্ক্ষ না কিসের যেন কারচুপির কথা কইছে! আরে ধুর। ঐডাতো ওগো মানে পলিটিশিয়ানগো খাওজানির বিরাম থেইকা কয়। ওগো সব কথা ধরতে নাই, বোকা। তাইলে মেনন সাহেব যে কয় বিএনপির আসল উদ্দেশ্য নির্বাচন না, দেশটারে জংগী রাষ্ট্র বানানো! প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক দিলেও ওরা নির্বাচনে আইবো না? ভালো কথা, জনগনতো আর হেইডা চায় না।

তাইলে, তত্বাবধায়কের অধীনে একখান নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়া প্রমান করলেইতো হয়। জনগনের রায়ও পাওয়া গেল, আবার ওরা নির্বাচনে না আইলে তাগো আসল চেহারাও দ্যাশের মানুষ দেখলো। তাইলে আর সমস্যা কি? বরং দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসার জন্য যারা নানা কুট কৌশল খেলতাছে, বিএনপিরে চাপাচাপি করতেছে, তাগো উদ্দেশ্যইতো ভালা ঠেকতাছে না। কথা হইলো, হয় নিরপেক্ষ ইলেকশন দাও, বিএনপিসহ হক্কলরে নির্বাচনে আসার সুযোগ দাও, ফেয়ার খেলা খেলো, আর নইলে, নিজেগো খেলা নিজেরাই খেলো, ওইখানে বিএনপিরে আননের জন্য এত চাপাচাপি ক্যান? বিদেশীগো দ্যাখানো যে বিএনপিও ছিলো, তাও আমরাই জিতছি! আমগো সরকার জনগনের ম্যান্ডেট নিয়াই ক্ষমতায় ফিরা আইছে! দোস্ত, একখান কথা আমার মাথায় ঘুরতাছে। কি কথা! এই যদি পুরা জিনিষটাই উল্টা হইতো, মানে, আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক চাইছে, আর বিএনপি দিতাছে না, তাইলে এইসব দলবাজ আদর্শবাদীরা কি কইতো? আশির দশকের সব পত্রিকাগুলি খুইলা দ্যাখ, ব্যাডা।

এরশাদরে নামানোর জন্য ওরা কি কইছিলো আর আর তার জবাবে এরশাদ কি করছিলো, কি কইছিলো! আর না পারলে, ১৯৯৬ সালের পত্রিকাগুলা খুইলা দেখ ব্যাডা। তখন যেসব কথা কইছিলো, এখন সেগুলো পুরাই হজম কইরা ফেলছে। সবইতো বুঝলাম, তাইলে যে কয় গনতন্ত্রের মানস কন্যা, দেশনেত্রি! তাইলে, সেলিম দেলোয়ার, রাওফুন বসুনিয়া, নুর হোসেনসহ এ পর্যন্ত শত শত মানুষ যে আত্নাহুতি দিল তাগো কি হইবো, সবই কি বৃথা? জানি না রে ভাই, তুই এখন বাড়ীত যা, আমারে আর জ্বালাইস না। ভন্ডগুলার প্যাচাল পাইরা মাথাডা ভন ভন করতাসে, যত্তসব! এই কে আছস, দুইডা প্যারাসিটামল দে, এখুনি।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।