আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় সংবিধান...হায়...



২০০৭ সালের অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাস। আকাশে বাতাসে তখন একটা কথাই ভেসে বেড়াচ্ছে "সংবিধান"। কুলি মজুর চাষা দোকানদার হাটে মাঠে ঘাটে সবাই তখন সংবিধান বোদ্ধা। এতটাই, আমি আইনের ছাত্র হয়েও তাদের বিশ্লেষনের কাছে চুপসে গেছি, ফেল মেরেছি। বিতর্ক হচ্ছিল সিইসি আজীজ কে নিয়ে।

বিএনপির দাবী এই পদ সাংবিধানিক। তাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউনসিল গঠন ছাড়া তাকে সরানো সম্ভব নয়। আর আওয়ামী লীগের দাবী তিনি নিরপেক্ষ নন, তাকে স্বরে যেতে হবে। সেটা সংবিধানের ভেতরে থেকেই ভাবেই সম্ভব। এ নিয়ে দু পক্ষের দলবাজ বুদ্ধিজিবী আর সুশীল সমাজের মাঝে সে কি আলোচনা, বিতর্ক।

তার সাথে পাল্লা দিয়ে আম জনতাও যেখানে সেখানে সাংবিধানিক আলোচনায় মজে গেল, ঝগড়া করল, একে অন্যের মাথা ফাটাল। শেষে আওয়ামী লীগের তুমুল আন্দোলনের মুখে আজিজ পদত্যাগ করেন। আসে ফখরুদ্দিনের সরকার। সে সরকার নামে তত্বাবধায়ক হলেও থেকে গেল দু বছর। সংবিধানের কোন ধারা অনুযায়ী তা সাংবিধানিক হল, তা নিয়ে এবার নিরব রইল পন্ডিতেরা।

চুপসে গেল পথে মাঠে ঘাটে হঠাত গজিয়ে উঠা ভুরি ভুরি সংবিধান বিশেষজ্ঞ্ররাও। ২০১৩ সাল। আওয়ামী তত্বাবধায়ক বাতিল করল। বিএনপি তত্বাবধায়ক ছাড়া ক্ষমতায় যাবে না। আওয়ামী লীগের দাবী এটি এখন সংবিধান বিরোধি (১৯৯৬ সালেও তা সংবিধান বিরোধী ছিল।

তবুও আওয়ামী লীগ এর জন্য লাগাতার হরতাল করেছিল)। তাই সংবিধান থেকে এক চুল ও সরা যাবে না। এ দাবী মানা যাবেনা। । ...অথচ নির্বাচনের বাকি ৯০ দিনেরও ্কম।

সরকার আছে বহাল তবিয়তে। নির্বাচনী সরকারের কোন আলামত নেই। কথা ছিল সংসদ চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এর পর বাড়িয়ে করা হল ৭ নভেম্বর। এখন শুনছি তা আরো বাড়তে পারে।

এখ্যন আর সংবিধান পড়ে কেউ বুঝতে পারছেন না, আসলে সংসদের শেষ তারিখ কবে হতে পারে। সেটা কি সরকারের মর্জিমত নাকি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। হায়রে সংবিধান! বাংলাদেশের মত এমন করে আর অন্য কোন দেশে সংবিধান নিয়ে এমন কুতকুত খেলা কি অন্য কোন দেশে আছে। এ কেমন সংবিধান আমরা বানালাম যা পড়ে আমরা কোন কিছু বুঝতে পারি না। এ কেমন সংবিধান, যার ব্যাখ্যা বুঝতে আমাদের খালেদা হাসিনার দিকে চেয়ে থাকতে হয়? এমন হতভাগা জাতি পৃথিবীর বুকে বোধহয় আমরা একাই।

মন্দ কি? অন্তত এক দিক দিয়েতো আমরা অন্যদের চেয়ে আলাদা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।