আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইনে এমআরপি পাসপোর্টের নিয়মাবলী



আজকে এমআরপি পাসপোর্টের ছবি তুললাম। ডেলিভারি দেয়ার তারিখ ১ ডিসেম্বর, ২০১৩। অবশ্য আমার আগে হাতে লেখা পাসপোর্ট ছিল। অনলাইনের মাধ্যমে আমি পাসপোর্টের আবেদন করি। আর আজকে ছবি তুললাম।

বিষয়টা খুব সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। সবাইকে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। প্রথমে আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন। আবেদনের জন্য এখানে ক্লিক করুন । আবেদন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ সঠিক ভাবে লিখতে হবে।

বিশেষ করে আপনার এসএসসি সার্টিফেকট অনুযায়ী লিখতে হবে। বানান যেন ভুল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাথে মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল নম্বর দিতে হবে (অবশ্যই যে নম্বরটা্ আপনি রেগুলার ব্যবহার করেন সেটা্ই দিবেন)। এইভাবে ধাপে ধাপে ফরমটা পূরণ করবেন। ফরম পূরণ করা হলে আপনাকে সাবমিট করতে বলা হবে।

সাবমিট করার সময় একটু ভালভাবে চেক করবেন, কোনো কিছু ভুল আছে কিনা। এরপর আপনার ই-মেইলে পাসপোর্টের একটা লিংক আসবে। সেখান থেকে পিডিএফ ফরমটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন দুই কপি। এরপর দুই কপি ছবি পাসপোের্টের প্রথম পৃষ্ঠায় গাম দিয়ে লাগিয়ে তা সত্যায়িত করতে হবে। সত্যায়িত কারা করতে পারবে তা ফরমে লেখা আছে।

সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। যাদের পুরানো পাসপোর্ট আছে তাদের পুরানো পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে জমা দিতে হবে এবং ছবি তোলার সময় তা নিয়ে আসতে হবে। এরপরের ধাপ হচ্ছে টাকা জমা দেয়া। এটা ইচ্ছা করলে আপনি আগে জমা দিতে পারেন। কারণ অনলাইন ফরমে টাকা জমাদান সম্পর্কিত একটি অংশ আছে।

পাসপোর্টের টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে আমি সবাই সাজেশন দিবো সোনালী ব্যাংক, কলেজ গেইট শাখায় দেয়ার জন্য। এখানে ভিড় খুবই কম হয়। আগারগায়ে খুব ভিড় থাকে। কলেজ গেইট শাখাটা হচ্ছে সোহওয়ারাদ্দী হাসপাতালের উল্টোদিকে। ছবি তোলা: অনলাইনে ফরম পূরণের সময় আপনি কবে ছবি তুলবেন তা বলে দিতে হয়।

অর্থাৎ আপনার ফরমে ছবি তথা বায়োমেট্রিক্সের সময় আপনি বলে দিবেন। যেদিন আপনি ছবি তুলার ডেট দিবেন, সেদিন সকাল বেলায় আগারগাও এ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। খেয়াল রাখবেন পোশাকের রঙ যেন সাদা না হয়। সাদা ছাড়া যেকোনো পোশাক পড়া যাবে। প্রথমে নতুন বিল্ডিংয়ের ৩০৪ নম্বর রুমে গিয়ে আপনার ফরমটা চেক করে নিতে হবে।

চেক করার সময় যাদের পুরানো পাসপোর্ট আছে তাদের পুরানো পাসপোর্ট দেখাতে হবে। অফিসার আপনার ফরম চেক করার পর তা নিচ তলায় গিয়ে নম্বর নিতে হবে। এটা সেনা কর্মকর্তারা করেন। এখানে দুই বার নম্বর নিতে হয়। এরপর একই বিল্ডিংয়ের চারতলায় ৪০২ নম্বরে গিয়ে ছবি, সাইন ও আঙ্গুলের ছাপ তারা নিবে এবং আপনাকে পাসপোর্ট নেয়ার একটা সম্ভাব্য তারিখ দিয়ে একটা রশিদ দিবে।

এটা সংরক্ষন করতে হবে। কারণ পাসপোর্ট নেয়ার সময় এই রশিদ দেখাতে হবে। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন ঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বরে একট ম্যাসেজ আসবে। তারপর রশিদ দেখিয়ে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। যাদের পুরানো পাসপোর্ট আছে তাদের পুরানো পাসপোর্ট দেখাতে হবে।

পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নাম, ঠিকানা ঠিক আছে কিনা তা চেক করবেন। সব ঠিক থাকলে বলেবেন ইয়াহু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।