আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমন ধানে ফলস স্মার্ট রোগ, দিশাহারা কৃষক

উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁ জেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান ক্ষেতে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কিন্তু ধান ক্ষেতের শীষে কাঁচা-সোনার রং ধারণ করার পর পরই হঠাৎ করে ফলস স্মার্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, দীর্ঘ খরার কারণে কৃষকরা পানি সেচ দিয়ে আমন ফসলকে রক্ষা করেছেন।

আবহমান কাল থেকে ধান পাকার আগ মুহূর্তে শীষে ছিটেফোঁটা কালো কালো গুটি দেখা যেত। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় লক্ষীরগু (ফলস স্মার্ট)। বর্তমানে সেই লক্ষ্মীরগু এখন জেলার বিভিন্ন ধান ক্ষেতে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। যা আগে কখনও এর ব্যাপকতা এত বেশি ছিল না। আদি লোকেরা বলত ধান ওঠার আগ মুহূর্তে যে জমিতে লক্ষ্মীরগু দেখা যেত সে ক্ষেতে ধানের ফলন বেশি হতো।

লক্ষ্মীরগু ধানের শীষে কালো কালো গুটি হিসেবে দেখা যায়। যে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা যায় সেই শীষের ধানে চাল থাকে না। বর্তমানে জেলার কৃষকরা ক্ষেতে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেওয়ার চিন্তায় পড়েছে।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুব আলম ফারুক বলেন, ধান রোপণের সময় বীজ শোধনাগার থেকে বীজ ব্যবহার না করার কারণে ছত্রাক জাতীয় এ রোগ দেখা দিয়েছে। আগে এ রোগের ব্যাপক আকারে দেখা না দেওয়ায় কৃষকদের এ বিষয়ে তেমন ধারণা নেই।

ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, ক্ষেত থেকে আক্রান্ত শীষ ভেজা কাপড় জড়িয়ে তুলে পলেথিন ব্যাগে পুরে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত জমিতে ছত্রাকনাশক হিসেবে কার্বনডাজিন গ্রুপের যে কোনো ওষুধ স্প্রে করলে ফসলকে রক্ষা করা যাবে। আগামীতে এ রোগের হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করতে হলে আক্রান্ত জমির ধানের বীজ হিসেবে রাখা যাবে না এবং বীজ শোষনাধার থেকে বীজ সংগ্রহ করে বীজ বোপন করতে হবে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম নুরুজ্জামান মন্ডল বলেন, ধান ঘরে ওঠার আগ মুহূর্তে এ রোগের দেখা দেওয়ায় ফসলকে রক্ষার জন্য কৃষকদের সচেতন করার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মওসুমে জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

জেলার ১১টি উপজেলায় এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৯ হেক্টর জমিতে। সেখানে চাষ হয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা নির্ধারিত চাষকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।