খেলা নয়, যেন টেন্ডুলকারের বিদায় উৎসবটাই মুখ্য হয়ে উঠেছিল কলকাতায়। ইডেনে নামার আগেই তাঁকে কেন্দ্র করে এতসব আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল, সবার মনোযোগ সরে গিয়েছিল ওদিকেই। ব্যাট হাতে শচীন টেন্ডুলকারের পারফরম্যান্স শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরের বাহারি আয়োজনের মতো হয়নি। আর সে কারণেই এত কিছুর পরও শেষ পর্যন্ত জমেনি কলকাতা থেকে তাঁর বিদায়টা।
একই রকম ভুল করতে চায় না টেন্ডুলকারের নিজের শহর মুম্বাইয়ের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)।
টেস্টের আগে টেন্ডুলকারের বিদায় নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এমসিএ কোষাধ্যক্ষ বিনোদ দেশপান্ডে, ‘আমরা তাঁর (টেন্ডুলকারের) মনোযোগ নষ্ট করতে চাই না। তিনি এখানে শেষ টেস্ট খেলবেন এবং আমরা তাঁকে সেটা নিজের মতো খেলতে দিতে চাই। বক্তৃতা, রাজকীয় ডিনার সবকিছু টেস্টের পর। ’
মুখে বলছেন, বাড়াবাড়ি করতে চান না। মুম্বাই টেস্টের আয়োজন দেখে অবশ্য সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
পাঁচ দিনের জন্য আলাদা আলাদা রঙের পাঁচটি টিকিট করা হয়েছে। প্রতিটিতেই থাকছে টেন্ডুলকারের আলাদা ছবি। প্রতিদিনের টিকিটে থাকবে টেন্ডুলকারের ৫০তম, ১০০তম, ১৫০তম ও ২০০তম টেস্টের ভেন্যু ও প্রতিপক্ষের নাম, পারফরম্যান্স।
ইডেন টেস্টের মতো ওয়াংখেড়েতেও টস হবে সোনার কয়েন দিয়ে, যার একপাশে টেন্ডুলকারের মুখ, অন্যপাশে এমসিএর লোগো। টেস্টে আমন্ত্রিত অতিগুরুত্বপূর্ণ অতিথিদেরও দেওয়া হবে সোনার কয়েন, মাঠে ঢোকার সময় দর্শকেরা পাবেন টেন্ডুলকারের মুখোশ আর ছবিসহ ক্যাপ।
স্টেডিয়ামের ভেতরেই থাকবে কয়েকটি স্টল, যেখানে পাওয়া যাবে টেন্ডুলকারের বিভিন্ন স্মারক।
যাঁকে নিয়ে এত কিছু সেই টেন্ডুলকার অবশ্য বরাবরের মতোই নীরব। চিরকাল নিভৃতে শুধু ক্রিকেট নিয়েই যে তিনি ভেবে গেছেন তার আরও একটা প্রমাণ দিলেন এমসিএ সভাপতি ও সাবেক বিসিসিআই-প্রধান শারদ পাওয়ার। ২০০৭ সালে তখনকার ভারত অধিনায়ক স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার সময় নাকি উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন টেন্ডুলকারের নাম। কিন্তু পাওয়ার সে প্রস্তাব নিয়ে টেন্ডুলকারের কাছে যাওয়ার পর তিনি নিজে অধিনায়ক না হয়ে প্রস্তাব করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম।
সেই ধোনিই এখন ভারত ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক। ওয়েবসাইট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।