আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তার নাজাত দেবার শক্তি সামর্থ নাই তবুও কেন কুর্ণিশ তাকে?

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম

আমাদের সমাজে একটা প্রচলন আছে বিশেষ করে ঈদের সময় অনেকে পা ছুয়ে ছালাম করে সেলামী নেয়। আবার নতুব বউ তার শ্বশুর শাশুড়ির পা ছুয়ে সালাম করে। মুসলিম চিন্তাবিদ ও স্কলাররা বলেন, এটা অপ্রয়োজনীয় মুখে সালাম এবং মুসাফা বা গলায় গলা মিলানো যেতে পারে। কারো পায়ে পড়ে কুর্নিশ করা ঠিক না। কোরআন হাদীস ফেকাহ শাস্ত্রে এমন কোন নজির নেই।

আমরা সবাই জানি কম বেশি, শয়তান ইবলিসকে (তখন ফেরেস্তা) যখন বলা হলো আদমকে সেজদাহ করো। তখন সে অবাধ্যতা করায় তার শেষ ইচ্ছামত বিপুল ক্ষমতা দিয়ে বলা হলো সৃষ্টিজগত ধ্বংসের পর সারাজীবন তাকে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। আমাদের পৃথিবীর আগুনে মৃত্যু হলে শেষ, কিন্তু সেই আগুন জ্বলে মৃত্যু হবে আবার শারিরীক অবকাঠামো ফিরে পাবে আবার জ্বালানো পুড়ানো হবে। আমরা জানি আল্লাহর অবস্থানের পর মানুষ। জ্বীন ফেরেসতা কুলও মানুষের পরে তাদের অবস্থান।

কিন্তু প্রথমে আল্লাহ। আল্লাহ আবার বলছেন তোমরা শুধু আমারই কাছে সাহায্য চাও এবং আমারই প্রার্থনা করো। ( সোর্স: সুরা ফাতিহা) যে জন্য এসব কথা বলা, আজ মেয়াদীত্তির্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আমলার অনেকে পা ছুয়ে সালাম করে তার কাছে আশির্বাদ নেন। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করে তাঁর কাছে দোয়া চেয়োছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।