আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেক চেক ফ্যাশন

সালোয়ার-কামিজ আর ফতুয়ার একঘেয়েমি কাটাতে এই হালকা হিম হিম আমেজে পরতে পারেন নানান রঙের চেক শার্ট। খাটো থেকে লম্বা, সাদামাটা থেকে জমকালো—সব সাজেই এখন সেজেছে এখনকার চেক শার্টগুলো। লেগিংস, জেগিংস, জিনস কিংবা টাইটস সবকিছুর সঙ্গে এটি বেশ মানিয়েও যায়।

মডেল ও অভিনেত্রী আফরিনা তৃণর প্রায় সব সময়েরই প্রিয় পোশাক শার্ট-প্যান্ট। আর শার্টের নকশার মধ্যে চেকই তাঁর বেশি পছন্দ।

কুর্তার সঙ্গে মিলিয়ে তিনি পরেন রঙিন বেল্ট ও চাপা জিনস। তিনি বলেন, ‘এ সময়ের আবহাওয়া উপযোগী আর আরামদায়ক পোশাক চেক শার্ট। সব সময় পরার জন্য সুতি আর কোনো জমকালো আয়োজনে সিল্কের চেক শার্ট বেছে নিই আমি। নিজের পছন্দ অনুযায়ী শার্ট বানিয়েও নিই। ’

ফ্যাশন হাউজ ফ্রিল্যান্ডের শাখা ব্যবস্থাপক মো. পাভেল বলেন, ‘আরাম আর নতুনত্বের জন্য এখন ক্রেতাদের মধ্যে টি-শার্টের চেয়ে শার্টের চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে।

এর মধ্যে আবার চেক শার্টগুলো এখন দারুণ জনপ্রিয়। হলুদ, গোলাপি, আকাশি, লালের মতো উজ্জ্বল রংগুলো সবাই পছন্দ করছে। এর সঙ্গে মিলিয়ে কেউ কেউ রঙিন ওড়না অথবা স্কার্ফও পরছেন। ’
ঢাকার নূরজাহান সুপার মার্কেটের তাহসিন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সোহেল আকন্দ বলেন, বড় চেকের শার্টগুলো এ সময়ের তরুণীরা বেশ পছন্দ করছেন। খাটো-লম্বা দুই ধরনের শার্টগুলোরই বেশ চাহিদা রয়েছে।



বাজার ঘুরে দেখা গেল, একরঙা নয় বরং দু-তিনটি রঙের মিশেলে সেজেছে শার্টগুলো। কোনো কোনোটিতে আবার উজ্জ্বল একটি রঙের কয়েক রকম শেড ব্যবহার হয়েছে। রয়েছে ঝুরি চেক থেকে শুরু করে ছোট-বড়-মাঝারি নানান বরফি আকৃতির চেক। চেকের সঙ্গে রয়েছে রঙিন বোতাম বাহার। আরামের দিকটা মাথায় রেখে প্রায় সব শার্টই তৈরি করা হয়েছে সুতির কাপড়ে।



চেক শার্টের খোঁজে যাঁরা আছেন তাঁরা চলে আসতে পারে ওয়েস্টেকসের শাখাগুলোতে। এখানে সাদামাটা সুতির খাটো চেক শার্টগুলো পাবেন ৭৫০-৮০০ টাকায়, হালকা কারুকাজের শার্ট পাবেন ১৬৫০-১৭৫০ টাকায়, রঙিন বোতাম দেওয়া বাহারি কাটের লম্বা শার্ট পাবেন ২২৫০-২৩০০ টাকায়। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ফ্যাশন হাউস ফ্রিল্যান্ডে চেকের খাটো ও লম্বা শার্ট পাবেন ১২৫০-১৬৫০ টাকায়।

কম দামে চেক শার্টের বিশাল সংগ্রহ পেতে চলে আসতে পারেন ঢাকার বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট ও নূরজাহান সুপার মার্কেটে। এখানে নীল, লাল, সবুজ, সাদা, কালো, ছাইসহ বিভিন্ন রঙের চেক শার্ট পাবেন ৩০০-৩৫০ টাকায়।



চাইলে নিজেও পছন্দমতো নকশায় বানিয়ে নিতে পারেন শার্ট। ঢাকার নীলক্ষেতের কাকলি লেডিস টেইলার্সের মাস্টার জাহিদ বলেন, ‘খাটো শার্ট বানাতে কাপড় লাগবে দুই থেকে আড়াই গজ। লম্বা শার্টের জন্য তিন গজ হলে ভালো হয়। আর ভিন্ন কাপড়ে পাইপিং বা গলার কলার করতে কাপড় লাগবে আধা গজ। চাইলে রঙিন কাপড় দিয়ে বোতামও তৈরি করিয়ে নেওয়া যাবে।



শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন আপনার পছন্দের প্যান্ট, জেগিংস কিংবা লেগিংস। পরতে পারেন ঘেরওয়ালা পালাজ্জো প্যান্টও। কুচি দেওয়া খাটো শার্টের সঙ্গে পালাজ্জো ভালো লাগবে। রঙিন জেগিংস ও ডেনিম প্যান্ট ভালো লাগবে খাটো-লম্বা দুই রকমের শার্টের সঙ্গেই। টাইটস বা লেগিংস পরতে পারেন হাঁটু ছুঁই ছুঁই শার্টের সঙ্গে।

শার্ট ও প্যান্টের রংটা বিপরীত হলেই ভালো মানাবে। সাজে ভিন্নতা আনতে খাটো শার্টের সঙ্গে রঙিন চিকন কোমরবন্ধনীও পরতে পারেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।