আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ মশা

এক প্রতিবেদনে টাইম ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ডেঙ্গু মশার বিশেষ এ প্রতিরোধক ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন গবেষক স্কট ও’নিল এবং তার দল।
বিশেষ এ মশাগুলোকে ওলবাকিয়া নামে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমিত করা হয়েছে। এ ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডেঙ্গু ভাইরাস মশাগুলোতে সংক্রমিত হতে পারে না। মজার বিষয় হল, এ মশাগুলো যাদের কামড়াবে তারাও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

এদের অধিকাংশই এশিয়ার অধিবাসী। বিশ্বের প্রতি ১৮ জন মানুষের মধ্যে একজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত, যা এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা অনুমানকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বহু পতঙ্গের মধ্যেই দেখা গেছে। তবে কোনো কারণে বিশেষ কিছু প্রজাতির মশার মধ্যে ব্যাকটেরিয়াটি অনুপস্থিত। এসব মশার মধ্যে এডিস মশাও রয়েছে।


দুই দশক আগে এ জীবানুটি ইয়েল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী স্কট ও’নিলকে আগ্রহী করে তোলে। কিন্তু সে সময় এ নিয়ে তিনি সফলতা না পেলেও ২০০৮ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আসার পর এ বিষয়ে গবেষণা করেন। তার এ সংক্রান্ত গবেষণার এক শিক্ষার্থী আবিষ্কার করেন ঠিক কীভাবে ব্যাকটেরিয়াটি দিয়ে মশাকে সংক্রমিত করা যাবে এবং মশার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও এ ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে।
তখন তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এ প্রক্রিয়ায় পতঙ্গটির আয়ু কমিয়ে আনা। পরবর্তীতে তারা লক্ষ্য করেন এ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত মশাগুলো যে দ্রুত মারা যাচ্ছে শুধু তাই নয়, এটি ডেঙ্গু ভাইরাসও প্রতিরোধ করছে।

বিষয়টি অনেকটা প্রাকৃতিক প্রতিষেধকের মতো।
এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নে কর্মরত ও’নিল বলেছেন, “ওলবাকিয়া উপস্থিত থাকলে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে না। যেহেতু মশার মধ্যে এটি ছড়াতে পারে না সেহেতু এটি অন্যকে সংক্রমিতও করতে পারে না। ” ওলবাকিয়া অন্যান্য মশাবাহিত রোগও প্রতিরোধ করে বলে জানিয়েছে স্কট ও’নিল।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।