আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘এটা পদত্যাগপত্রই নয়, আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য মন্ত্রীরা কেউ পদত্যাগপত্র দেননি। তারা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে।
“সংবিধানের ৫৮ এর ১ (ক) ধারা অনুযায়ী কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য পদত্যাগপত্র দিলেই তা কার্যকর হয়,  এক্ষেত্রে তা হযনি। ”
আইনমন্ত্রীর ভাষায়, “এটা পদত্যাগপত্রই না। এটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।


অবশ্য এটা কিসের আনুষ্ঠানিকতা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি শফিক আহমেদ।    
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যেই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘তারিখবিহীন’ পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা, যার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
 
সংবিধান অনুযায়ী একজন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা কার্যকর হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এবার মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে সেটি ঘটবে না। যারা সর্দলীয় সরকারের থাকবেন না, কেবল তাদের পদত্যাগপত্রই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।


অন্যদিকে সরকারের এ দাবি নিয়ে বিরোধী দলসহ টেলিভিশনে বিভিন্ন আলোচনায় প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়ে যায়। তা গ্রহণ করা বা নাকচ করার সুযোগ সংবিধানে নেই।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “মন্ত্রীরা কেউ পদত্যাগ করেননি, তারা অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেছেন।

যে পদত্যাগপত্র দেয়া হয়েছে, তা সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। ”
যদি তেমনটিই হয়, সেক্ষেত্রে যারা সর্বদলীয় সরকারে থাকবেন না, তাদের আবার নতুন করে পদত্যাগপত্র দিতে হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “নতুন করে দিতে হবে না। মৌখিকভাবে জানালেই হবে। ”
তাহলে সোমবার মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে পত্র দিয়েছেন, তাকে কী বলা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিক আহমেদ বলেন, “আপনারা যা খুশি বলতে পারেন। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।