আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উৎকণ্ঠার শেষ কোথায়

টানা হরতালে সারা দেশের মানুষের মধ্যে চলছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। থমকে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। অর্থনীতি নিয়ে হতাশ সবাই। তারপরও সংকট নিরসনে বাস্তবমুখী কোনো পদক্ষেপ নেই দুটি দলের মধ্যে। একদিকে বিএনপি ব্যস্ত হরতাল কর্মসূচি নিয়ে।

অন্যদিকে সরকারি দল উৎসব করছে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের সাড়া দেয়নি কোনো দল। যে কারণে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মানুষ শুনতে চায় এই পরিস্থিতির অবসান কীভাবে হবে-

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করে বলেছেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো কোনো মতেই কাম্য হতে পারে না।

গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য তুলে ধরেন। জনপ্রশাসনের সাবেক শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় সারা দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতিতে সমঝোতা ছাড়া সংকট উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি হলেই কেবল দেশ সহিংসতা থেকে মুক্তি পেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আকবর আলি খান বলেন, হরতাল ও রাজনৈতিক অচলাবস্থায় দেশের সব মানুষের মতো আমিও উদ্বিগ্ন।

এ অবস্থার মধ্য দিয়ে একটি দেশ চলতে পারে না। আমরা বার বার বলে আসছি, রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ করতে হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যকর সংলাপ ও সমঝোতা প্রয়োজন।

চলমান সংকট থেকে উত্তরণের পথ কী_ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই খুঁজে বের করতে হবে। বাইরে থেকে প্রস্তাব দেওয়া সম্ভব নয়। প্রধান বিরোধী দল ছাড়া জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সব মহলে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।