মেডিকেল এর পড়া পড়তে পড়তে যখন ক্লান্ত হই তখন ই ভেসে ওঠে চোখের সামনে আমার মা-বাবার লালিত স্বপ্ন
“হুমায়ন আহমেদের
লিখা গুলোকেই
ভালবাসা উচিত তাকে নয়”
“অনেকে বিশ্বাস করে মৃত্যুর পর
একটি জগত আছে ।
সেখানে পৃথিবীতে কে কি করেছে তার
হিসেব নিকেশ করা হবে ।
কারো কপালে থাকবে জান্নাত
কারো কপালে জাহান্নাম ।
আমি জানিনা আমার এই
কথা গুলো কোন ধর্মবিশ্বাসীর
মনে আঘাত দেবে কিনা,
তারপরও আমি মনে করি মৃত্যুর পর
আমি মাটির
সাথে মিশে যাবো ।
মাটি গ্রাস করবে আমার সমস্ত
শরীর ।
জীবনের পর আর কোন জগত
আমার জন্য
অপেক্ষা করছে না । ”- হুমায়ন
আহমেদ ।
ক্যান্সারের
চিকিৎসা বিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র
থেকে দেশে এসে দৈনিক
বাংলাদেশ প্রতিদিন
কে দেয়া সাক্ষাতকারে দেশবরেণ্য
লেখক এমন উক্তি করেছিলেন ।
সাক্ষাৎকারটির সম্পূর্ণ
কাটিংটি আমার কাছে ছিল ।
ঐ দিন
আমি ফেইসবুকে এটা নিয়ে একটা স্ট্যাটাসও
দিয়েছিলাম ।
যাই হোক “ধর্ম” এবং ঈমানের মূল
বিষয় গুলোর অন্যতম একটি বিষয়
“আখিরাত” নিয়ে যিনি এই
ধরনের মন্তব্য করেন আমি সেই মৃত
ব্যক্তি সম্পর্কে কোন
কথা বলতে চাচ্ছিনা ।
শুধু একটি প্রশ্ন করব,
তাকে নিয়ে এত
লাফালাফি করাটা কতটা যুক্তিপূর্ণ ?
হুমায়ন আহমেদের কাজ ছিল
উপন্যাস লিখে আমাদের
সাহিত্যের রস তথা আনন্দ
দেয়া । আমি মনে করি তার
লিখা গুলোকেই
ভালবাসা উচিত তাকে নয় ।
কারন
আমি যদি বলি তাকে আমি কেন
অনুসন করব? আপনি হয়ত দুই
একটি ছাড়া তার ভাল কোন গুন
দেখাতে পারবেন
না(আমি মনেকরি এটি বিশ্লেষণ
করে দেখানুর কিছু নেই, তার
ব্যক্তিগত জীবনের
দিকে তাকালেই
বুঝতে পারবেন ) । আর দুই
একটি ভাল গুন সবারই থাকে ।
আরেকটি ব্যপার হল, তিনি মুলত
পাঠক কে আনন্দ দেয়ার জন্য
লিখতেন না, ব্যবসায়িক
চিন্তাধারায়
টাকা উপার্জনের জন্য
লিখতেন । এটি তিনি নিজেই
স্বীকার করেছেন ।
অনেক নিন্দুকেই বলে যে,
একমাত্র টাকা ওয়ালা লেখক
হল হুমায়ন আহমেদ।
থাক, হুমায়ন প্রেমীদের
মনে কষ্ট দিয়ে আর
লিখবনা কারন, তার
সমালোচনা করার মত
যোগ্যতা এখনও আমার হয়নি ।
পুনশ্চঃ আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুন।
। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।