আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০ টেস্টে ২০০ তথ্যে টেন্ডুলকার

ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০তম টেস্ট খেলছেন শচীন টেন্ডুলকার। যেটি একই সঙ্গে তাঁর বিদায়ী টেস্টও। তাঁর এই ২০০তম টেস্টে আসুন, জেনে নিই টেন্ডুলকার সম্পর্কে ২০০টি কৌতূহল-জাগানিয়া তথ্য। আজ দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ৫০ তথ্য। তৃতীয় ও চতুর্থ পর্বে থাকবে বাকিগুলো।



৫১. শচীন টেন্ডুলকারের সবচেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্র গাব্বার সিংয়ের ‘শোলে’।

৫২. শচীন রান্না করতে ভালোবাসেন। একবার বেগুন ভর্তা রান্না করে পুরো দলকে খাইয়েছিলেন।

৫৩. ২০০৮ সালে ক্রিকেটার টেন্ডুলকার এবং দাবাড়ু বিশ্বনাথ আনন্দ ক্রীড়াজগতের মানুষ হিসেবে প্রথমবারের মতো ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেন।

৫৪. ১৯৮৮-১৯৮৯ মৌসুমে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের হয়ে অভিষেকেই গুজরাটের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান টেন্ডুলকার (১০০*)।

এই কীর্তি টেন্ডুলকার গড়েছিলেন মাত্র ১৫ বছর ২৩২ দিন বয়সে, যা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড, বিশ্বরেকর্ড হিসেবে এটি দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড।

৫৫. একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে রঞ্জি ট্রফি, ইরানি ট্রফি ও দুলীপ ট্রফিতে সেঞ্চুরির কীর্তি কেবল টেন্ডুলকারের আছে।


৫৬. ১৬ বছর ২০৫ দিন বয়সে ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল শচীনের। তাঁর আগে ছিলেন মুশতাক মোহাম্মাদ (১৫ বছর ১২৪ দিন) ও আকিব জাভেদ (১৬ বছর ১৮৯ দিন)।

৫৭. ১৯৬১ সালে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশতাক মোহাম্মাদ (১৭ বছর ৭৮ দিন)।

১৯৯০ সালে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেঞ্চুরি করেন টেন্ডুলকার (১৭ বছর ১০৭ দিন) পরে মোহাম্মদ আশরাফুল দুজনেরই রেকর্ড ভেঙে দেন (১৭ বছর ৬১ দিন)। ভারতীয়দের মধ্যে টেন্ডুলকারের আগে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল কপিল দেবের কাছে (২০ বছর ১৮ দিন)।

৫৮. ২০০টি টেস্ট টেন্ডুলকার ছাড়া আর কারও খেলার সৌভাগ্য হয়নি।

৫৯. টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড শচীনের, ১৫৯২১ রান।

৬০. টেন্ডুলকার তার প্রিয় ব্যাটিং পজিশন ৪ নম্বরে ২৭৫টি ইনিংস খেলে ১৩ হাজার ৪৯২ রান করেছেন, আছে ৪৪টি সেঞ্চুরি, ৫৮টি হাফ সেঞ্চুরি।

ক্রিকেটের ব্যাটিং অর্ডারে যেকোনো পজিশনে এটাই রানের রেকর্ড সর্বোচ্চ।

৬১. সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড (৫১টি) শচীনের। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি টেস্টে শচীন ভেঙেছিলেন সুনীল গাভাস্কারের ৩৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

৬২. টেস্ট খেলুড়ে সবগুলো দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির কীর্তি আছে শচীনের। স্টিভ ওয়াহ ও গ্যারি কারস্টেনের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক অর্জন করেন তিনি।



৬৩. ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন টেন্ডুলকার।

৬৪. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেন্ডুলকার প্রথম বলটি মোকাবিলা করেছেন ওয়াকার ইউনুসের বিপক্ষে। ক্রিজের অন্য প্রান্তে সতীর্থ হিসেবে ছিলেন আজহারউদ্দিন। সেটি ওয়াকারেরও অভিষেক টেস্ট ছিল।

৬৫. ২০ বছর বয়স অতিক্রম করার আগেই ৫টি সেঞ্চুরি করে ভবিষ্যতের বার্তা দিয়ে দেন টেন্ডুলকার।



৬৬. ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০ বছর ধরে সেঞ্চুরি করার কীর্তি আছে তাঁর। ডন ব্র্যাডম্যানের প্রথম ও শেষ সেঞ্চুরির মাঝখানে ছিল ১৯ বছর ৭ মাসের দূরত্ব।

৬৭. প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০১০ সালে এক বর্ষপঞ্জিতেই করেছিলেন ৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি, এর মধ্যে দুটো ছিল দ্বিশতক।

৬৮. ২০১০ সালে এক বর্ষপঞ্জিতে করা ১৫৬২ রানের রেকর্ডটিও ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ।

৬৯. ৩৫ বছর বয়স অতিক্রম করার পর টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে এসেছে ১২টি টেস্ট সেঞ্চুরি।

টেন্ডুলকারের পাশে আছেন কেবল ইংলিশ কিংবদন্তি গ্রাহাম গুচ।

৭০. ভারতীয় দলনেতাদের মধ্যে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের অধীনে খেলার সময়ই টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ১৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি।

৭১. ক্রিকেট ইতিহাসে ৫০+ রানের সবচেয়ে বেশি ইনিংস খেলার কীর্তিও তাঁর। ৫১টি সেঞ্চুরি এবং ৬৮টি হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ কিংবা তার বেশি রানের মোট ১১৯টি ইনিংস খেলেছেন টেন্ডুলকার।



৭২. বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডও শচীনের (৮৭০৫ রান)।

৭৩. একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সাতটি ভিন্ন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে এক হাজার করে রান করেছেন টেন্ডুলকার। এক হাজারেরও কম রান করেছেন কেবল জিম্বাবুয়ে (৯১৮ রান) ও বাংলাদেশের বিপক্ষে (৮২০ রান)।

৭৪. দুবার আউট হওয়ার মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক টেন্ডুলকার। ২০০৩-০৪ মৌসুমে তিন টেস্ট ও পাঁচ ইনিংসে দুইবার আউট হওয়ার মাঝখানে করেছিলেন ৪৯৭ রান।

ইনিংসগুলো ছিল অপরাজিত ২৪১, অপরাজিত
৬০, অপরাজিত ১৯৪ ও ২ রান।

৭৫. এই সময়টাতেই টেন্ডুলকার প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ম্যাচে ৩০০-এর বেশি রান করেছিলেন অপরাজিত থেকে।

৭৬. টেন্ডুলকার একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০ বার ১৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন।

৭৭. টেন্ডুলকার টেস্ট ক্রিকেটে ছয় মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৬ বার, এটিও বিশ্ব রেকর্ড।

৭৮. টেন্ডুলকার ৫১তম সেঞ্চুরি করেছেন কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, যেটি বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরির রেকর্ড এনে দেয় তাঁকে।

বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪টি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের ওয়ালি হ্যামন্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার নিল হার্ভের।

৭৯. শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান টেন্ডুলকারের।

৮০. ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১২০০০, ১৩০০০, ১৪০০০ ও ১৫০০০ রান করার মাইলফলক শচীনের।

৮১. সবচেয়ে কম ইনিংসে ১০০০০, ১২০০০, ১৩০০০, ১৪০০০ ও ১৫০০০ রান করার রেকর্ডের মালিক টেন্ডুলকার।

৮২. টেস্টে ভারতের হয়ে একই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা এবং হেরে যাওয়া ক্রিকেটারও তিনি।

৭০টি টেস্ট জয়ের পাশাপাশি রয়েছে ৫৬টি পরাজয়।

৮৩. পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে টেন্ডুলকার একবারই স্টাম্পড হয়েছিলেন। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন।

৮৪. ২০০১-০২ ক্রিকেট মৌসুমে ভারতীয় রেকর্ড টানা পাঁচ ইনিংসে এলবিডব্লুর শিকার।



৮৫. ব্যাটসম্যান টেন্ডুলকার টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৩টি রানআউটের প্রত্যক্ষদর্শী। নিজে ৯ বার আউট হয়েছেন, সতীর্থদের ১৪ বার আউট হতে দেখেছেন।

৮৬. অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ তাঁর ক্যারিয়ারে টেন্ডুলকারকে করা প্রথম এবং একমাত্র বলে (এখন পর্যন্ত) আউট করতে পেরেছিলেন।

৮৭. টেন্ডুলকারের শেষ টেস্টটি পঞ্চম দিন পর্যন্ত গড়ালে টেন্ডুলকারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বয়স হবে ২৪ বছর ৩ দিন। ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতিহাসের পঞ্চম বৃহত্ ক্যারিয়ার।

উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে খেলে যাওয়া রেকর্ড।

৮৮. টেন্ডুলকার জীবনের প্রথম ৩২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে!

৮৯. টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ বার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হওয়ার গৌরব আছে শচীনের।

৯০. টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ বার ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ও হয়েছেন।

৯১. টেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড় মিলে ২০টি শতরানের জুটি গড়েছিলেন। এটাই বিশ্বক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি জুটির রেকর্ড।



৯২. দলনেতা হিসেবে টেন্ডুলকার সফল হতে পারেননি। তবে ২৫ ম্যাচে ৫১.৩৫ গড় নিয়ে দলনেতা হিসেবে টেন্ডুলকারের ব্যক্তিগত ব্যাটিং গড় যেকোনো ভারতীয় দলনেতার মধ্যে সর্বোচ্চ।

৯৩. পুরো ক্যারিয়ারে টেন্ডুলকার টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন মোট ৫৯৩ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে, ১০৮ জন সতীর্থ এবং ৪৮৫ জন প্রতিপক্ষ। এটিও বিশ্বরেকর্ড।

৯৪. দলনেতাদের মধ্যে আজহারউদ্দিনের অধীনে সবচেয়ে বেশি ৪৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।



৯৫. টেন্ডুলকার দ্রাবিড়ের সঙ্গে ১৪৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, ১২২টি খেলেছেন অনিল কুম্বলের সঙ্গে, ১২০টি ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে, ১০৩টি খেলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে।

৯৬. ২০১৩ সালে চেন্নাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতা স্মরণীয় টেস্টটিতে প্রথম দুই বলে দুটি দুর্দান্ত ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন টেন্ডুলকার।

৯৭. মোট ১১ জন বিরল সৌভাগ্যবান বোলার আছেন, যাঁদের ক্যারিয়ারের প্রথম শিকারের নামটি ছিল ‘টেন্ডুলকার’। হানসি ক্রনিয়ে, উজেশ রানছোড় (জিম্বাবুয়ে), রুয়ান কালপেগে (শ্রীলঙ্কা), মার্ক ইলহাম (ইংল্যান্ড), নিল জনসন (জিম্বাবুয়ে),
 জ্যাকব ওরাম (নিউজিল্যান্ড), মন্টি পানেসার (ইংল্যান্ড), ক্যামেরন হোয়াইট (অস্ট্রেলিয়া), পিটার সিডল (অস্ট্রেলিয়া), পিটার জর্জ (অস্ট্রেলিয়া), অ্যান্ডি ম্যাকায় (নিউজিল্যান্ড)।

৯৮. টেন্ডুলকার টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনোই ৩ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেননি।

টেস্টে একবারই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি খেলেছেন চারে।


৯৯. সম্পূর্ণ টেস্ট ম্যাচ শেষে স্কোরকার্ডে মোট ৫৩ বার টেন্ডুলকারের নাম আছে ওই ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে।

১০০. ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের জুন পর্যন্ত টেন্ডুলকার টানা ৮৪টি টেস্ট খেলেছিলেন কোনো বিরতি ছাড়াই।
..............................
প্রথম পর্ব এই লিংকে

তৃতীয় পর্ব আগামীকাল

 



সোর্স: http://www.prothom-alo.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।