আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০ টেস্টে ২০০ তথ্যে টেন্ডুলকার (শেষ পর্ব)

ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০তম টেস্ট খেলছেন শচীন টেন্ডুলকার। যেটি একই সঙ্গে তাঁর বিদায়ী টেস্টও। এই ২০০তম টেস্টে আসুন জেনে নিই টেন্ডুলকার সম্পর্কে ২০০টি কৌতূহল-জাগানিয়া তথ্য। আজ প্রকাশিত হলো চতুর্থ ও শেষ পর্ব।
১৫১. সতীর্থ ভেঙ্কটপতি রাজু বিরল সৌভাগ্যবান ক্রিকেটার, যিনি তাঁর ক্যারিয়ারের ৫৩টি ওয়ানডের সবকটি খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে!
১৫২. বোলার শচীন টেন্ডুলকার ওয়ানডে ম্যাচে ছয়বার ম্যাচে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মাত্র ছয়জন বোলার টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশিবার ম্যাচে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। বোলার হিসেবেও টেন্ডুলকার কম যান না!
১৫৩. ২০১২ সালে ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার সময় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মোট সেঞ্চুরির ২৫ শতাংশই এসেছিল টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে।
১৫৪. ওয়ানডের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সাতটি ভিন্ন ক্রিকেট মৌসুমে ১০০০+ রান করতে পেরেছিলেন। ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০০ এবং ২০০৩ ক্রিকেট মৌসুমে এই কীর্তি গড়েছেন।
১৫৫. ওয়ানডে ক্রিকেটে এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বাধিক রান এবং সেঞ্চুরির কীর্তি কেবল শচীনের।

১৯৯৮ সালে ৩৪ ম্যাচে নয়টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ১৮৯৪ রান করেছিলেন।
১৫৬. জাভেদ মিয়াঁদাদের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ছয়টি বিশ্বকাপ আসরে খেলার বিরল অর্জন আছে শচীন টেন্ডুলকারের। ১৯৯২-২০১১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ছয়টি বিশ্বকাপের সব কটিতে খেলেছেন।
১৫৭. ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান (২২৭৮), সর্বাধিক সেঞ্চুরি (৬টি), সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরি (১৫টি) এবং সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের (১৫২ নামিবিয়ার বিপক্ষে) মালিক টেন্ডুলকার।

১৫৮. ২০০৩ বিশ্বকাপে বিশ্বকাপ ইতিহাসের এক আসরে সর্বাধিক ৬৭৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন।


১৫৯. ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৬০. বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে কোনো ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত শচীনের রেকর্ড ছয়টি সেঞ্চুরি মাইলফলক ছুঁতে পারেনি।
১৬১. টেন্ডুলকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক একুশটি ৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ২১ ইনিংসের ছয়টি রূপান্তরিত হয়েছিল সেঞ্চুরিতে।
১৬২. ১৯৯৬, ২০০৩ ও ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ—ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে তিন তিনবার চার শতাধিক রান সংগ্রহের কীর্তি গড়েছেন।


১৬৩. একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুটি আলাদা টুর্নামেন্টে দুবার করে পাঁচ শতাধিক রান আছে শচীনের। ২০০৩ বিশ্বকাপে করেছিলেন ৬৭৩ রান, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে করেছিলেন ৫২৩ রান।
১৬৪. ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক নয়বার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হওয়ার গৌরব আছে কেবল শচীন টেন্ডুলকারের।
১৬৫. ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ভিন্ন বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে টানা চারটি করে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন (১৯৯৬ এবং ২০০৩ বিশ্বকাপ) ।
১৬৬. ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিপক্ষে মাত্র ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।

ভারতীয় কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।
১৬৭. এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক চার মারার রেকর্ডের মালিক টেন্ডুলকার, ৭৫টি চার মেরেছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে।
১৬৮. বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বাধিক ২২১টি চার মেরেছেন শচীন টেন্ডুলকার।
১৬৯. বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রেকর্ড ১২টি শতরানের পার্টনারশিপে অংশীদার।
১৭০. বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বাধিক আটবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হওয়া ক্রিকেটারের নাম শচীন টেন্ডুলকার।


১৭১. শচীন ওয়ানডেতে দুবার ছয় মেরে ভারতের জন্য জয় এনে দিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (চম্পাকা রামানায়েকের বলে) এবং ২০০২ সালে কানপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (জেরেমি স্নেপের বলে)।
১৭২. ১৯৯৯-২০০০ ক্রিকেট মৌসুমে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের ক্রিস ড্রামের করা এক ওভার থেকে ২৪ রান তুলেছিলেন। ওই ওভারে অতিরিক্ত ৪ রানসহ মোট ২৮ রান হয়েছিল।
১৭৩. টেন্ডুলকার ১৯৯৮ সালে নিজের জন্মদিনে শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচটিতে খেলেছিলেন ১৩৪ রানের ইনিংস।

এটি নিজের জন্মদিনে খেলা কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে লম্বা ইনিংস।
১৭৪. ১৯৯৮ সালে ১২ বার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার জিতেছিলেন, এক বছরে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ড।
১৭৫. ইংলিশ ফাস্ট বোলার অ্যালান মুলালি একবার মাঠের আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত চওড়া ব্যাট দিয়ে খেলছিলেন কি না।
১৭৬. ওয়ানডে ক্রিকেটে কেবল টেন্ডুলকারই ৯৯টি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পেরেছিলেন, সঙ্গে ছিল ২১ জন ভিন্ন ভিন্ন সতীর্থ।
১৭৭. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির মালিক শচীন টেন্ডুলকার।


১৭৮. ওয়ানডে ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার টেন্ডুলকারের ঝুলিতে ১৫০টি উইকেটের পাশাপাশি ১৫ হাজারের বেশি রান রয়েছে।
১৭৯. ১৯৯৮ সালে ভারত সফর চলাকালীন ম্যাথু হেইডেন শচীন সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি ঈশ্বরকে দেখেছি। ঈশ্বর ভারত টেস্ট দলে ৪ নাম্বার পজিশনে ব্যাট করে। ’
১৮০. ষোলো জন বোলারের প্রথম ওয়ানডে শিকার ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার!
১৮১. ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে সর্বাধিক রানের রেকর্ড শচীনের। ক্রিকেটের বিভিন্ন ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শচীন ৩৯ ইনিংস থেকে ৫৪.৪৪ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ১৮৫১ রান।


১৮২. ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ছয়টি সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার।
১৮৩. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন টেন্ডুলকারের।
১৮৪. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবগুলো সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশিবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ এবং ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ পুরস্কার জিতেছেন। ৭৬টি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ (টেস্টে ১৪ বার, ওয়ানডেতে ৬২ বার), ২০টি ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ (টেস্টে ৫ বার, ওয়ানডেতে ১৫ বার)।
১৮৫. ২৫ এপ্রিল ১৯৯০ থেকে ২৪ এপ্রিল ১৯৯৮ পর্যন্ত টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে ২৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন বিরতিহীনভাবে (৫৪টি টেস্ট এবং ১৮৫টি ওয়ানডে)।

এমন কীর্তি আর কারও নেই।
১৮৬. টেন্ডুলকার তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারের মুখ দেখেন কোচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৯৯৮ সালের এপ্রিল ফুলের দিনে।
১৮৭. ক্যারিয়ারে শত শত বোলারের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে টেন্ডুলকার নিজের দেখা সবচেয়ে কঠিন বোলার বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পার্টটাইম বোলার হানসি ক্রনিয়েকে!
১৮৮. আইপিএল টি-২০ ক্রিকেটে ২০১০ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলা টেন্ডুলকার টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ ৬১৮ রান করেছিলেন ১৪ ইনিংস থেকে।
১৮৯. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেন্ডুলকার এক ক্রিকেট পঞ্জিকা বছরে ২০০০ রান করে করেছেন মোট চারবার।

এমন রেকর্ড আর কারও নেই।
১৯০. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান।
১৯১. আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক।
১৯২. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবগুলো সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত টেন্ডুলকারের রান সর্বাধিক। মোট রান ৩৪৩৫৭।

২৭৪৮৩ রান নিয়ে টেন্ডুলকারের বেশ পেছনে রিকি পন্টিং।
১৯৩. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ২৭ বার নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়েছেন। ১৭ বার ওয়ানডেতে, ১০ বার টেস্টে। এ ছাড়া একটি ওয়ানডে ম্যাচে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৯টি নব্বইয়ের ঘরের ইনিংস খেলা ক্রিকেটারও তিনি।


১৯৪. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সবগুলো ফরম্যাট মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর রান ৬৭০৭, সেঞ্চুরি ২০টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১টি, গড় ৪৯.৬৮।
১৯৫. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকও টেন্ডুলকার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০টি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। ডন ব্র্যাডম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।


১৯৬. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬৪টি ছয় মেরেছেন।
১৯৭. প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট, ঘরোয়া ওয়ানডে, ঘরোয়া টি-২০সহ ক্রিকেটের সব কটি স্বীকৃত সংস্করণে শচীনের মোট রান ৫০ হাজার ১০৮, যা উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
১৯৮. টেন্ডুলকার এবং সুনীল গাভাস্কার—মুম্বাইয়ের এই দুই সাবেক ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে যৌথভাবে সর্বাধিক ৮১টি করে সেঞ্চুরির মালিক।
১৯৯. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্রেট লির বলে সর্বাধিক ১৪ বার আউট হয়েছেন।
২০০. টেন্ডুলকার ভারী ব্যাট দিয়ে খেলেছেন।

তাঁর একটি ব্যাটের ওজন ছিল ৩.২ পাউন্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার কেবল এর চেয়ে ভারী ব্যাটে ব্যাট করেছেন।

আরও পড়ুন...

প্রথম পর্ব 

দ্বিতীয় পর্ব 

তৃতীয় পর্ব

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।