আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় শিশু সন্তানের সামনে হাত-পা বেঁধে বাবা আমজাদ হোসেনকে (৩৫) নির্যাতন করার ঘটনায় অভিযুক্ত কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক ওরফে মানিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ রোববার স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশের চিঠি পাওয়ামাত্র চেয়ারম্যান শহিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনকে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, শিশু সন্তানদের সামনে হাত-পা বেঁধে বাবা আমজাদ হোসেন ও ছহিরুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যক্তিকে অমানবিক নির্যাতন করার ঘটনায় প্রথম আলোর অনলাইনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজসহ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মেদ এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

রংপুরের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক এরশাদুল হক গত ২১ অক্টোবর সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বদরগঞ্জ উপজেলার বৈরামপুর গফুরেরপাড়া গ্রামের আমজাদ কোরবানির জন্য স্থানীয় কাঁচাবাড়ি মৌলভীপাড়া গ্রামের ছহিরুল ইসলামের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। ১৩ অক্টোবর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হকের নির্দেশে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা গরু কেনার বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে আমজাদ ও ছহিরুলকে আটক করেন। এরপর ওই দুজনকে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কোমরে দড়ি বেঁধে পেটাতে পেটাতে এলাকায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান।

পরে তাঁদের স্থানীয় বৈরামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আমজাদের তিন মেয়ে বাবাকে পেটাতে দেখে হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টা পেটানোর পর তাঁদের বদরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ৫৪ ধারায় মামলা করে তাঁদের ১৪ অক্টোবর জেলহাজতে পাঠায়। আট দিন পর আদালত থেকে আমজাদ ও ছহিরুল জামিনে মুক্তি পান।

তাঁদের অভিযোগ, বিগত নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হকের বিপক্ষে কাজ করায় চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে কথিত গরু চুরির অভিযোগে তাঁদের নির্যাতন করেছেন।
এ নির্যাতনের ঘটনায় ‘প্রথম আলো’র শেষ পৃষ্ঠায় ও প্রথম আলো অনলাইনে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।