আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুব্রত-সাজ্জাদের বিনিময়ে চেটিয়াকে চায় দিল্লি

উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বদলি হিসেবে দুই বাংলাদেশি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনকেও বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তবে দুই দেশের মধ্যে এই সন্ত্রাসীদের বদলির কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনো নির্ধারিত হয়নি। চলতি বছরের শেষেই দুই দেশের এই বন্দীবিনিময় হতে পারে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তরফে সেদেশে অবস্থানরত ২৩ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসীর যে তালিকা ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই তালিকায়ও একেবারে প্রথম সারিতে ছিল সুব্রতর নাম।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী রিসালদার মোসলিম উদ্দিন এবং ক্যাপ্টেন মজিদকে খুঁজে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারেও ভারত নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে মোসলিম উদ্দিন ভারতের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারও চাইছে তাকে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে মুজিব হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করতে। সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশের এই দুই কুখ্যাত সন্ত্রাসী বর্তমানে ভারতের জেলে বন্দী। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ সুব্রতের বিরুদ্ধে।

ওই বিস্ফোরণে ২৪ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ২০০ জন। এ ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাসহ অনেক খুন ও রাহাজানির অভিযোগে বাংলাদেশের আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। ওই ঘটনার পর থেকেই সে নানা দেশের পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে তারা পালিয়ে আসে ভারতে। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে অবৈধ অস্ত্র এবং জাল রুপিসহ সুব্রত বাইনকে কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স।

বর্তমানে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দী সুব্রত বাইন, অন্যদিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে গ্রেফতার করা হয় চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে। বর্তমানে দিলি্লর তিহার জেলে বন্দী সাজ্জাদ হোসেন। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে অনুপ চেটিয়াকে। অনুপ্রবেশ, জাল পাসপোর্ট, বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে তার সাত বছরের জেল হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের হাইকোর্ট রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে সেফ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেন।

২০০৫, ২০০৮ এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন এই উলফা নেতা। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে করা আরজি প্রত্যাহার করে ভারতে ফেরার মনস্থির করেন চেটিয়া।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।