আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসএসসির ফরম পূরণে কোটি টাকার বাণিজ্য

এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে লালমনিরহাট, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে কোটি টাকার অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির দ্বিগুণ থেকে চারগুণ পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক অভিভাবক। অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। আর এ অর্থ-বাণিজ্যের সঙ্গে শিক্ষক ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের খবর-

লালমনিরহাট : জেলার ১৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৮৪টি মাদ্রাসায় ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ফি। এর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এ খড়গ বসিয়েছেন। জানা গেছে, শিক্ষা অধিদফতর এসএসসির ফরম পূরণে ১৪৫০ ও দাখিলে ১০৭৫ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন- তার দলের কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত নয়, থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ অভিযোগ স্বীকার করে অনেক মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, ম্যানেজিং কমিটির বেঁধে দেওয়া টাকাই আদায় করা হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মোসলেম উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মাদারীপুর : মাদারীপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফরম পূরণে নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। যারা অতিরিক্ত টাকা দিতে পারছে না তাদের ফরম পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরেজমিন অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানরা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তের অজুহাত তুলে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন। জেলার প্রায় সব স্কুলে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ফি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ভর্তির সময় সেশন চার্জ ও বেতন দেওয়ার পরও ফরম পূরণে এসব খাতে টাকা আদায় করা হচ্ছে। মাদারীপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বরঞ্জন দাশ বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা সত্য নয়। বোর্ডে যাতায়াতের জন্য হয়তো কিছু টাকা বেশি নিতে পারে, তবে তা যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।

শরীয়তপুর : জেলার ১১৪টি মাধ্যমিক ও ৫৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। গোসাইরহাটের ইদিলপুর ও নাগেরপাড়া বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানায়, তারা ফরম পূরণের জন্য ৩-৪ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছে। একই অভিযোগ করেছে আঙ্গারিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নলিনী রঞ্জন রায় জানান, বোর্ডের ধার্য ফির অতিরিক্ত আদায়ের বিধান নেই। কোথাও এ ধরনের অনিয়ম হলে প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.