আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড় বড় রাজনতৈকি দলগুলরি নীতি নর্ধিারকদরে মধ্যে কি কোন ব্যবসায়ী শল্পিপতি আছনে ? নাকি উনারা সকলে গরীব দনি মজুর ! ন্যুনতম মজুরী ও ন্যায্য মজুরীর মধ্যে র্পাথক্য কি ?



শ্রমিকেরা কি ন্যায্য মজুরী দাবী করছে নাকি ন্যুনতম মজুরী দাবী করছে ! ন্যায্য মজুরী দুরে থাক ন্যুনতম মজুরীর জন্য,কষ্টকর নিষ্ঠুর অমানবিক জীবন থেকে মুক্তির জন্য,মালিকের কারখানা সচল রাখার জন্য,নতুন শ্রমিক জন্ম দেওয়ার জন্য আট হাজার তিনশত টাকার জন্য মরছে। ন্যুনতম মজুরী আট হাজার তিনশত টাকা তা যদি মালিক ও সরকারের কাছে বেশী হয় তাহলে মালিক সরকার কেউই গরীবের সরকার না । আমরা যতদুর জানি ন্যুনতম মজুরী মানে কমপক্ষে মজুরী নিম্ন মজুরী এর নীচ হয় না । জীবন কিভাবে চলে ! গ্রামের জীর্ন শীর্ন ঘর শহরের বস্তি ফুটপাত তাতেও তো আট হাজার তিনশো টাকায় কম খেয়ে ভাংগাঘরে শুয়ে ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দিতে হয়। একমাত্র ন্যায্য মজুরী পেলে শ্রমিকেরাও মলিকের মতো না হলেও মার্জিত সুখী স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারে।

মালিকেরা শত কোটি টাকার ভোগ বিলাসী জীবন যাপন করেন,সুইচ ব্যাংকে জমা করেন, সবই তো শ্রমিকের গায়ের ঘামের শ্রমের জমাট বাধা রূপ। ন্যায্য মানে সঠিক,সঠিক মানে সত্য। সাদাকে সাদা বললে যেমন সত্য বলা হয়। সাদাকে কালো বললে তা মিথ্যা,নীল বললে মিথ্যা। সাদাকে সাদা বললেই সত্য - সঠিক - ন্যায্য ।

সেই সত্য মজুরী /ন্যায্য মজুরী/সঠিক মজুরী কত ! ন্যুনতম মজুরী ও ন্যায্য মজুরীর মধ্যে পার্থক্য কি ? যার শ্রমে যতটুকু উৎপাদন হয় সবটুকুই ্্ তার মজুরী, তাই-ই সত্য মজুরী। শ্রমিকেরা সত্য মজুরী দাবী করছে না, শ্রমিকেরা মালিকের সকল সম্পদ দাবী করছে না, কোন রকমে বেচে থাকার জন্য ন্যুনতম মজুরী দাবী করছে আট হাজার তিনশত টাকা। মানবাধিকার রক্ষার নামে যা অমানবিকতা মালিক সরকার বড়লোকেরা করছে তার স্বীকার হচ্ছে গরীব শ্রমজীবি মানুষ। রাজনীতিক শিল্প মালিকদের কাছে সঞ্চিত গচ্ছিত যা ধন সম্পদ টাকা পয়সা আছে তা দিয়ে সকল দরিদ্রদের পাকা বাড়ীঘর,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও আগামী ১০০ বছর মাসে ১০হাজার টাকা ভাতা দেওয়া যায় ! নিজেরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে গরীবদের শান্তনা দিচ্ছেন দুনিয়াতে সম্পদ যার যত কম আখরাতে জবাবদিহিতা তার তত কম। ধর্মকে ব্যবহার করে সম্পদ আড়াল করছেন আর সব্বোর্চ ভোগ করছেন।

ধনীক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী আমাদের রাজনৈতিক দলগুলি সু নিপুন নাটক রচনা ও মঞ্চায়ন করে এমন ইস্যু এনে জনগনকে বোকা বানালেন যাতে বেশীরভাগ মানুষের জন্য যা তাই কম খেয়ে ভাংগাঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা। গরীব মানুষ নির্বাচন নিয়ে ভাবছেনা,গরীব মানুষকে নির্বাচন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে ধনীক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী আমাদের রাজনৈতিক দলগুলি। সরকারী দল ও বিরোধী দলের যে নাটক আমরা দেখলাম তা হলো নির্বাচন কিভাবে হবে যাতে গরীব মানুষের কোন লাভ নেই। নির্বাচনী যে অংগীকার তা বাস্তবায়িত হলেও গরীব মানুষের কোন লাভ হবেনা। রাজনৈতিক দলগুলির গরীবের প্রতি সত্যিকারের মমত্ব থাকলে এখনি অংগিকার করুন আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে।

মন্ত্রী এম পি বড় আমলাদের শপথ নিতে হবে যে,” আমি মন্ত্রী হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি এম পি হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আমি বড় আমলা হবো কিন্তু টাকার মালিক হবো না,আরো ও শপথ নিতে হবে রাজনীতিকে রোজগেরে পেশা বানাবো না,রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়বো না। রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । রাজনীতির মতো মানব সেবাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারা পাবেন রাষ্ট্রীয় সম্মান,মর্যাদা কিন্তু তাদের অবশ্যই ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিকানার সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে। একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে নির্বাচনে নিশ্চয়ই কোটি টাকা খরচ করতে পারবেন না, একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি ও সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি করবেন না।

ধনী গরীব যেমনএকই কাতারে নামায পড়ে.ধনী গরীব যেমনএকই কাতারে পূজা প্রার্থনা করে তেমনি সকল টাকা পয়সা দিয়ে সকল নাগরিকের জন্য একই মানের ঘর ,একই মানের খাবার ,একই মানের কাপড় একই মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। তাই-ই ন্যায্য মজুরী তাই-ই সঠিক মজুরী তাই-ই সত্য মজুরী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।