আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘‘লবন” আমির হোসেন আমু

মত প্রকাশে আপোষহিন।

আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমুকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ‘লবণ’ আমু হিসেবে চেনেন। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে রেশনের লবণ চুরির অভিযোগ ওঠে। সে সময় লবণের সের (তখন কেজির প্রচলন হয়নি) ১০ টাকা হলে সারাদেশে লবণের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বঙ্গবন্ধুর সরকার।

মানুষ লবণ ছাড়াই তরকারি খেতে বাধ্য হয়। সে সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালে পুটলি ঝুলিয়ে দিয়ে লবণ চোর আমুর পরিচিতি তুলে ধরা হয়। সমাজে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় মানুষ লবণ কিনতে দোকানে গিয়ে বলেন এক ছটাক আমু দেন। সেই আমির হোসেন আমু ’৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেও তিনি তার কর্মী জাতীয় পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে শোচনীয় পরাজয়বরণ করেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মুুত্যুর পর উপনির্বাচনে ইলেন ভুট্টোর কাছে দ্বিতীয়বার পরাজিত হন।

যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মুহূর্তে তিনি মন্ত্রী হন। ১/১১ রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ‘শেখ হাসিনা মাইনাস’ অবস্থান নিয়ে আমির হোসেন আমু সংস্কারবাদী হয়ে উঠেন। তিনি শেখ হাসিনাকে মাইনাস করে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের ফর্মুলা দিয়ে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারকে খুশি করেন। এই ফর্মুলার কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সাইজ করে মন্ত্রিসভায় থেকে দূরে রাখা হয়। এমনকি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

কয়েক বছর দলে গুরুত্বহীন থেকে এখন সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী হয়ে গর্জন দিচ্ছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।