আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে সুরমার তীর কেটে ফের মাটির কারবার

ইটভাটায় মাটির জোগান দিতে সিলেটে শাহ পরান সেতুর পশ্চিম দিকের সুরমা নদীর তীর কেটে আবার মাটির কারবার শুরু হয়েছে। নদীর তীর থেকে পানি সরে যাওয়ার পর ইটভাটার লোকজনের যোগসাজশে একটি চক্র মাটির কারবার শুরু করে।
যত্রতত্র তীর কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ায় সুরমাপাড় বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের শাহ পরান থানা এলাকার টুলিটিকর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকাজুড়ে চলছে সুরমার তীর কেটে মাটির কারবার।
ওই এলাকায় পাশাপাশি অন্তত ১২টি ইটভাটা থাকায় মাটির কারবার জমজমাটভাবে চলছে।

ইটভাটায় এঁটেল মাটির চাহিদা থাকায় নদীতীরের মাটি ক্রয়বিক্রয় হচ্ছে। দৃশ্যত ট্রাকচালক ও মাটি কাটা শ্রমিকেরাই মাটির কারবারে থাকলেও আড়ালে রয়েছে দালাল চক্র।
সুরমাতীরের বাসিন্দারা জানান, শাহ পরান সেতু এলাকার পশ্চিমে কুশিঘাট হচ্ছে সুরমা নদীর ভাঙনকবলিত একটি এলাকা। প্রায় সাত বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিম কুশিঘাট নদীতীর সংরক্ষণ করা হয়। এতে ভাঙন মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে।


সংরক্ষিত অংশের পূর্ব দিকে মুরাদপুরে প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে নদীতীর খোঁড়াখুঁড়িতে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর এমন আশঙ্কা অমূলক নয় জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাপস পুরকায়স্থ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদীতীর যদি উঁচু হয়, তাহলে মাটি কেটে নিলে বর্ষার শুরুতেই নদীর গতিপথ বেঁকে মাটি কাটা অংশের দিকে ধাবিত হতে পারে। বর্ষায় নদী ভাঙনের মুখে পড়ার আশঙ্কাও বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। ’
বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এস এম ফজলুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কেউ জানায়নি। তা ছাড়া ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়ার সময় লিখিতভাবে এ-সম্পর্কিত অঙ্গীকারনামা রাখা হয়।

এটি অবশ্যই অবৈধ। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।