আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুল টিকিটের জন্য ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ!

মাত্র ১৮৮ টাকার টিকিট ভুল ইস্যু করায় এক লক্ষ টাকা গুনাগার দিতে হচ্ছে রেল মন্ত্রণালয়কে। ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী দু'বছর ধরে আইনি লড়াই চালানোর পরে গত সপ্তাহে রেল কর্তৃপক্ষকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। একা লড়াই করে হাজারো ক্ষতিগ্রস্ত রেলযাত্রীকে আশার আলো দেখিয়েছেন সুশান্তকুমার সাহা। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের বাসিন্দা সুশান্তবাবু নিজেই অবশ্য আইনজীবী।

এই মামলার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ক্ষতিপূরণের আর্জি খারিজ করলেও সুশান্তবাবু নিজেই আইনি লড়াই চালিয়ে উচ্চতর ফোরাম থেকে দাবির স্বীকৃতি আদায় করেছেন।

২০১১ সালেরর অক্টোবরে ব্যারাকপুর স্টেশনের রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকে খড়গপুর-পুরী উত্কল কলিঙ্গ এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। গন্তব্য ছিল পুরী। কিন্ত্ত খড়গপুর স্টেশন থেকে ওই ট্রেন চলাচল যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে, টিকিট কাউন্টার থেকে তাকে সেটা জানানো হয়নি। এমনকি যাত্রার দিন হাওড়া স্টেশনের অনুসন্ধান কাউন্টার এবং রেলের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেও নিশ্চিত হন, খড়গপুর স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই ছাড়বে ট্রেনটি। কিন্ত্ত রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খড়গপুর স্টেশনে এলে স্টেশন ম্যানেজার তাকে জানান, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতার জেরে ২০১০ সালের মে মাসের পর থেকে ওই ট্রেনটি আর খড়গপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছে না।

আদালতের নির্দেশে আনন্দিত সুশান্তবাবু বলেন, রেলের বৈধ যাত্রী হিসেবে তো আমার উপযুক্ত পরিষেবা প্রাপ্য। প্রতিদিন এমন বহু যাত্রীকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রেল কর্তৃপক্ষ জাতীয় ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হলেও আমি লড়াই চালিয়ে যাব।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।