আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কপি চোর আতঙ্কে চাষিরা নির্ঘুম

শীত পড়ছে। রাত বাড়লে শীতও বাড়ে। এমন রাতে অন্য সবাই ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমালেও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অনেক চাষিকে তাঁদের শীতের ফসল কপির খেতের কোনায় ছই বা পলিথিন দিয়ে ছোট ঘর বানিয়ে থাকতে হচ্ছে। চোরের উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষায় তাঁদের এভাবে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
চাষিরা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই চোরেরা কোনো না কোনো কপিখেতে হানা দিচ্ছে।

কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। এবার সবজির দাম বেশি হওয়ায় চুরিও বেশি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে চাষিরা তাঁদের কপিখেতে পাহারা বসিয়েছেন।
চাষিরা জানান, বাজারে এবার প্রতিমণ ফুলকপি এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। আর ১০০ পাতাকপির দাম এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠছে।

ভোরে বাজারে নেওয়ার জন্য আগের দিন বিকেলেই কপি গাছ থেকে কেটে, ডাল বাছাই করে খেতেই জড়ো করে রাখেন চাষিরা। রাতে সুযোগ বুঝে চোরেরা এসব কপি হাতিয়ে নেয়। আরেক ধরনের চোর রাতে একাধিক খেত থেকে কিছু কিছু করে কপি কেটে নিয়ে পরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।
উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের মোজামেঞ্চল হোসেন (৩৫) জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রথম দিকে সমস্যা না হলেও এখন দাম বাড়ায় চোরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

তাই কষ্টের ফসল চোরের হাত থেকে বাঁচাতে রাতে খেতের আলে বানানো ছইয়ের নিচে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, ‘এ রকম ছোটখাটো চুরির ঘটনা নিয়ে থানা পর্যন্ত কেউ আসে না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, ‘সবজির দাম বাড়লে এ রকম চুরি বেড়ে যায়। আমরা খেত থেকে সবজি চুরির এ রকম অনেক অভিযোগ পেয়েছি।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।