মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের জগাই মোড় এলাকায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন।
নিহত সাকমান আলী (৪০) সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের মাছুয়াকান্দি গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর-কায়েম সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধকারীরা সকালে জগাইমোড়ে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবরোধকারীরা তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে বাই সাইকেলে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সাকমান আলী টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
মোক্তার হোসেন জানান, স্থানীয়রা তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সংঘর্ষের পরপরই বিএনপি নেতা নুর-কায়েম সবুজকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সুবজ ২০১০ সালের আলোচিত ট্রেন পোড়ানো মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি।
ভোরে অবরোধের শুরুতেই শহরের মালসাপাড়া এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয় এবং একটি মিনি ট্রাক ভাংচুর করে অবরোধকারীরা।
এছাড়া শহরের রেলগেইট এলকায় রাস্তার পাশের গাছ কেটে অবরোধ সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে সড়কের কয়েকটি স্থানে রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় অবরোধকারীররা। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলতে দেখে গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।