আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই ম্যারাডোনাই এখন না বলছেন মাদককে

মাঠের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে তো বটেই, মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যও একইভাবে আলোচিত ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। খেলোয়াড়ি জীবনে দীর্ঘদিন ছিলেন মাদকের সংস্পর্শে। অত্যধিক মাদক গ্রহণের জন্য ২০০৪ সালে একবার মৃত্যু আশঙ্কাও ভর করেছিল তাঁর ওপর। নিজে যে ভুল করেছেন, সেটা এখনকার তারকা খেলোয়াড়েরা করুক, এটা কোনোভাবেই চান না ম্যারাডোনা। সে কারণেই এখন মাদক গ্রহণের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে সতর্ক করে দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা।



১৯৮০-র দশকের শুরুতে বার্সেলোনায় খেলার সময় থেকেই মাদক আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর নাপোলিতে যোগ দেওয়ার পর সেটার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। ২০০০ সালের পর ব্যাপকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তখন থেকে কয়েক দফা চিকিত্সার পর ২০০৭ সালে পুরোপুরি সুস্থ হতে পেরেছেন ম্যারাডোনা। তার পর থেকে আর কোনো ধরনের মাদকই স্পর্শ করেননি।

আর এখন তরুণ প্রজন্মও যেন তাঁর পথে পা না বাড়ায় সেই পদক্ষেপও নিচ্ছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। সম্প্রতি দুবাইয়ে ‘ক্রীড়া বনাম অপরাধ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে মাদক গ্রহণের ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি এটা নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পাই না। আমি এটার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছি। আর সে জন্য আমি খুবই খুশি।

আমার জীবন এখন অনেক ভালো হয়েছে। আমি কোনোভাবেই চাইব না যে এখনকার তরুণ প্রজন্মও মাদকের পাল্লায় পড়ুক। ’

মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ম্যারাডোনার সঙ্গে ছিলেন আরেক বিতর্কিত অ্যাথলেট বেন জনসনও। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই স্প্রিন্টারও সবাইকে সতর্ক করেছেন মাদক গ্রহণের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে, ‘২৫ বছর আগে, আমি একটা ভুল করেছিলাম। কোচের কথা শুনে শক্তি বর্ধনকারী ড্রাগ গ্রহণ করেছিলাম।

এ জন্য আমাকে হারাতে হয়েছিল অলিম্পিকের সোনা। এখন আমি তরুণ প্রজন্মকে বলব, আমি যে ভুল করেছি সেটা যেন আর কেউ না করে। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।