আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন দেশকে রক্ষা করতে হলে জিহাদ চাই



আমরা যখন মানুষকে জিহাদের দাওয়াত দেই দেশপ্রেমিকেরা তখন বলে শালা দেশকে আফগানিস্তান পাকিস্তান বানাতে চাস? ওহে বাল-আবালের দেশ প্রেমিকেরা তোমরা আজ কোথায়? গতকাল বাংলাদেশকে পাকিস্তান আফগান ইয়েমেন বানানোর জন্য চুক্তি করা হল দেশ প্রেমিক তুমি কি জানো না? নাকি জেনেও না জানার ভান করে আছ? সচেতন নাগরিক যারা জানতে চান তাদেরকে বলছি হোয়াট ইজ টিকফা? টিকফা হচ্ছে বাংলাদেশ আম্রিকার মধ্যে একটি চুক্তি যে চুক্তির আয়োতায় বাংলাদেশের সব ব্যাপারে আম্রিকা নাগ গলাতে পারবে বিনিময় আম্রিকা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিবে। (টাকার বিনিময় যৌন সুবিধার মত) টিকফা চুক্তির কারনে বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তান আফগান ইয়েমেনের মত হবে কেনো? টিকফা চুক্তিতে একটি ধারা আছে যে দেশ আম্রিকার সাথে চুক্তি করবে সে দেশ সন্ত্রাসবাদ নির্মুলে আম্রিকাকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে। পাকিস্তান ইয়েমেনে সন্ত্রাসবাদ নির্মুলের নামে প্রতিদিন ড্রোন হামলা করে নিরহ মুসলিম হত্যা করছে। এই ড্রোন হামলা গুলি করা হচ্ছে টিকফা চুক্তির আয়তায়। কারন পাকিস্তানের জাতীয় বেইমান মশারফ আর ইয়েমেনের মুনাফিক সালেহ আজ থেকে ১০ ১২ বছর আগে আম্রিকার সাথে টিকফা চুক্তি করেছিল।

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ নির্মুলের নাম করে বঙ্গপোসাগরে ঘাটি করবে আম্রিকা এদেশের হিজরা সেনাবাহীনি চেয়ে চেয়ে দেখবে কিছু করার থাকবেনা এদেশের নিরিহ মুসলিমদের উপর ড্রোন হামলা করা হবে। পার্বত্ত চট্টগ্রামকে মুসলিমহিন করে ইজরাইলের আদলে উপমহাদেশে স্বাধীন খৃষ্টান রাষ্ট্র গঠন করা হবে। যার টার্গেট নিয়ে খ্রিষ্টান মিশনারি অনেক আগে থেকেই সেখানে কাজ করছে। টিকফা নিয়ে আম্লীগ বিম্পি জামায়াত সবার এমন দ্বীমুখিতার কারন কি? ‘টিফা’ চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হয় প্রথম দশক কালেরও আগে থেকে গত বিম্পি সরকারের আমলে। এই চুক্তির খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ২০০১ সালে।

১৩টি ধারা ও ৯টি প্রস্তাবনা সম্বলিত চুক্তিটির প্রথম খসড়া রচিত হয় ২০০২ সালে। পরে ২০০৪ সালে এবং তারও পরে আবার ২০০৫ সালে খসড়াটিকে সংশোধিত রূপ দেয়া হয়। যা এখন টিকফা নামে পরিচিত শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি হয়ে উঠতে পারেনি শরিক দল জামায়াত এবং মুফতি আমিনির ইসলামি আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির বিরুধিতার কারনে বুঝতেই পারছেন বিম্পি হচ্ছে এদেশে টিকফার উদ্দোক্তা। টিকফার বিরুধিতা করা তাদের সাজে না বরং তারা টিকফা চুক্তিটি করে যেতে পারেনি এই ব্যার্থতার কারনে হইত আজ আফসোস করছে আর দীর্ঘ ১২ বছর ঝুলে থাকার পর গতকাল ২৫ নভেম্বরে আম্লীগ সরকার টিকফা চুক্তিটি সাক্ষর করল। আম্লীগ সমর্থকদের টিকফার বিরুধিতা করার প্রশ্নই আসেনা।

জামায়াত নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা নিয়ে সারাদেশ জালিয়ে দেয়ার হুমকি দিতে পারে টিকফা নিয়ে কেনো এরকম হুশিয়ারি দিতে পারলো না আশা করি জামায়াত সমর্থকেরা তার ব্যাখ্যা দিয়ে যাবেন। এই হচ্ছে মুল কাহীনি। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে আম্রিকার সমর্থন পেতে আম্লীগ বিম্পি প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে কে কার থেকে বেশি দেশটাকে আম্রিকার হাতে তুলে দিতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।