আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১ সালে যারা শিশু - নাবালক ছিল, জামাত সমর্থন করলে তারাও কি রাজাকার ? যুদ্ধাপরাধী ? ৭১ -এ যাদের জন্মই হয়নি , তারাও ? কেন???



প্রশ্ন: জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ, দেশের একটি নিবন্ধত রাজনৈতিক দল । দেশের রাজনীতিতে সংগঠন হিসেবে এর অবস্হান ৩য় বা ৪র্থ । আর সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় এটির অবস্হান ৩য়, এমনকি ২য় -ও হতে পারে । এমন একটা নিবন্ধিত দলের সদস্য - সমর্থকদের রাজাকার ও যুদ্বধাপরাধী বলা কতটা যুক্তি যুক্ত ? উত্তর : বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। যেহেতু শিশু -নাবালক এবং ৭১ এর পরে জন্ম নেওয়া জাশি নেতা - কর্মীদের দ্বারা হত্যা -ধর্ষণ এসব কাজ সম্ভব নয়, তাই তাদের যুদ্ধাপরাঢী বলা অন্যায় ও অযৌক্তিক ।

তবে নীচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে তাদের রাজাকার বলা হবে, এবং রাজাকরেরই ট্রটমেন্ট দেওয়া হবে। কারন : সাপার বাচ্চা সাপ -ই হয়। হাদীস শরীফে সাপ - বিছ্ছু এসব বিষাক্ত প্রাণী মারার সোয়াব বর্ণিত আছে । বাচ্চা সাপ ঘরে পেলে এজন্য কেউ নামেরে ছেড়ে ডেয় না যে এগুলো শিশু, মানুষ মেরে ফেলতে অক্ষম ! আমাদের শিবির ভাইরা হয়ত আমার মতের সাথে একমত হবেন না । যেহেতু তারা ইসলামের কথা বলেন, কুরাণ হাদীসের কথা বলেন, মানুষকে কুরাণ ও তাফসীর পড়তে উৎসাহ দেন, তাই তাফসীরবিদ ও তাফসীরের কিতাব থেকে বিষয়টা খোলাশা করার প্র‌য়াশ পাচ্ছি ।

কোরাণ - হাদীসে অনেক যায়গায় বনি ইসরাইলদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে । তাফসীরবিদ রা এনিয়ে অনেক বিশ্লষণ দিয়েছেন । তারা অন্যায় ভাবে নবীদের হত্যা করত । ধর্মকে বিকৃত করত . ইত্যাদী । প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান যুগে জন্ম নেওয়া বনী ইসরাইল বা ইহুদীরাও অভিশপ্ত কি না ? আর অভিশপ্ত হলে কেন ? বর্তমাণ যুগের ইহুদী - বনি ইসরাইলরাও লানত প্রাপ্ত ।

এর কারণ তফসীরবিদরা বলেন এরা তাদের পূর্বপুরুষদের কাজে রাজি, তাই । আমাদের শিবির ভাইরাও কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষদের কাজের উপর অতিশয় রাজী ও খুশী । আর সেজন্যই তারা এত এত দল ইসলামের নামে থাকার পরও যুদ্ধাপরাধী - খুনীদের গড়া দলটাকেই মনে প্রাণে গ্রহণ করেচেন এবং তার জন্য জীবন উৎসর্গ করছেন । তাই ৭১ এর বাচ্চা শিবির ও তরুণ প্রজন্মের জামাতের প্রতি বিনীত নিবেদন : সাপের বাচ্চা যেমন সাপ, রাজাকারের বাচ্চাও রাজাকার । সেজন্য তোরা রাজাকার, তুই রাজাকার ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।