আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিপোস্ট:মেয়েদের কাজ করা বিষয়ে



আজ Facebook এ একজনের একটা লেখা পড়লাম মেয়েদের কাজকরা বিষয়ে। তার বাবা পরিবারের তৃতীয় সন্তান। তার ধারনা সেকারনে তার মায়ের চাকরী করা সম্ভব হয়েছে। সে যেহেতু বড় ছেলে তাই তার বউকে চাকরী করতে সে দেবেনা কেননা তার বাবা কাজের মেয়ের হাতের রান্না খেতে পারেন না। তার ভাই দের স্কুল থেকে আনা নেয়া করেন তার মা বাবা অফিস ফাকি দিয়ে।

ড্রাইভার এর হাতে ছাড়েন না। তার কথা হল বউ হলে বউ কেই এসব করতে হবে। মা বুড়ো বয়সে কত করবেন। পরিবােরর সুখের কারনে তার বউকে এসব করতে হবে। মজার কথা হলো উনি এসব লিখেছেন মেয়েদের কাজ করা নিয়ে এক ইসলামিক একটা পোস্ট এ।

মানে হল উনি মেয়ে দের বাইরে কাজ করা নিয়ে ইসলামিক বিধি নিষেধ কে নিজের সুিবধা মত চালিয়ে নিয়েছেন। আমার কথা হল যদি ইসলামের কথা বলি তাহলে উনার বউ এর উনার ভাইদের সােথ এক বাসায় থাকাই যায়েয নয়। কারন তারা তার মাহরাম নয়। আপনার মায়ের বয়স হয়েছে তাই হাস্ব্যান্ড কে রেধে খাওয়াতে পারবেন না। অফিস করেন তাই ছেলে কে আনতে পারবেন না।

ছেলে কার ? ভাই কার ? বউয়ের? পরিবার বলতে বাবা মা ভাই বোন বুেঝন। তারা কষ্ট করে মানুষ করেছেন তাই দায়িত্ব বোধ করেন অথচ সেটা চাপাতে চান বউয়ের ঘাড়ে। আশা করনে আপনার বউ আপনার মত করেই তাদের ভােলাবাসবে। কেন শাশুড়ীেক আপনি ভােলাবাসবেন মায়ের মত?আপনার. মা আপনা কে কষ্কট করে মানুষ করেছেন আর মেয়েটা হাওয়ায় হাওয়ায় মানুষ হয়েছে তাইনা ? আপনার পরিবার আপনার বিয়ের পরও আপনার পরিবার. আর আপনি দয়া করে বিয়ে করে তাকে এতই বািধত করে ফেলেছেন যে যারা তােককষ্ট করে মানুষ করেছেন তারা আর এখন কে? আপনার প্রয়োজন আপনার পরিবার ই সব। মেয়েটাকে নিয়ে তার নিজের পরিবার এর চািহদা তােদরআশা সব মূল্্যহীন।

মেয়েরা শুধু মেকআপ এক্সেসরিজ কেনার জন্্য চাকরী করেনা। তােদর বাবা মা ও বৃদ্ধ হন। তােদরও ইচছে হয় বাবা মােক সুখ দিতে। তার মায়ের পায়ের নিচেই তার বেহেশত। আপনার মায়ের পায়ের নিচে নয়।

কোন মেয়ে চাকরী করবে কিনা সেটা সে ঠিক করবে। মুিসলিম মেয়েরা শরিয়ত বিরোধী হলে আল্লাহ কে ভয় পেয়ে কাজকরা থেকে বিরত থাকবে। আপনার বাবাকে রান্না করে দিতে বা আপনার ভাই দের আনাে নেয়া করতে নয়। একটা উপদেশ শাশুড়ীেক বা শ্বশুর কে আ গে মা বাবার মত ভালোবাসুন। তারপর আশা করুন।

তােদর সেবা করুন ছেলের মত। মেয়েটা বাধ্্য হবে আপনার বাবাকে মােক নিজের বাবা মা মনে করতে। আরআপনার বউ আপনার বাবাকে মােক সেবা করলে তার প্রতি. কৃতগ্ব থাকুন। তাকে সম্মান দিন আপনার যা করার কথা সেটা সে করে দিচছে বল। আরেকটা কথা দুইএকবার পরিবার কে রান্না করে খাওয়ালে ছেলে বলে আপনার ইজ্জত কমে যাবেনা।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।