আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

●জামাত-শিবির ইহুদী খ্রীষ্টানতথা কাফেরদের সহযোগী বা দালাল●



●জামাত-শিবির ইহুদী খ্রীষ্টান তথা কাফেরদের সহযোগী বা দালাল● সবাইকে ধৈয্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি তাহলে দেখা যাক কি ভাবে প্রমাণ হয়… আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লা আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে চারটা কর্মসূচি দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, ১- দাওয়াত ও তাবলীগ ২- ইলম ( ইলমে ওহী অর্থাৎ কোরআন হাদিসের জ্ঞান শিক্ষা দেয়া) ৩- তাজকিয়ায়ে নাফস বা আত্মশুদ্ধি ( যেটাকে প্রচলিত ভাসায় পীর মুরীদি বলে) ৪- জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ ( আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা) এখন আসুন প্রথমে দাওয়াত ও তাবলীগ, এই দাওয়াত ও তাবলীগের প্রকাশ্যে বিরোধীতা করে জামাত-শিবির, এবং এই পথের বাঁধা হিসাবে দাড়ায় তারা, এমনকি তারা তাবলীগ জামাতকে মসজিদে ঢুকতে দেই না, মাসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে এরকমও প্রমাণ আছে, কিছু দিন আগেও তাদের সবচেয়ে বড় মিথ্যুক পেইজ বাঁশেরকেল্লা ( আসলে শয়তানের কেল্লা) থেকে দাওয়াতে তাবলীগকে ব্যঙ্গ করে পোষ্ট দেয়া হয়েছে, সুতরাং সকলের কাছে স্পষ্ট যে জামাত-শিবির তাবলীগ বিরোধী, এবং তাবলীগের পথরোধ কারী প্রাচীর হিসেবে কাজ করছে তারা | দ্বিতীয় নাম্বারে হচ্ছে ইলমে ওহীর জ্ঞান শিক্ষা দেয়া, পৃথিবীর মধ্যে ইলমে ওহীর জ্ঞান চর্চার আসল জায়গা হচ্ছে ক্বওমী মাদ্রাসা, জামাত-শিবির এই ক্বওমী মাদ্রাসারও বিরোধীতা করে, ( যদিও তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু দিনের জন্য ক্বওমীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে) গতবার বি এনপির শাসনামলে ক্বওমী মাদ্রাসার অনেক হুজুরকে চাঁদা কালেকশনের জন্য বিদেশে যায়তে দেই নাই, এমনকি তারা একবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলাও করেছিল, এবং আপনি খুজ নিলে জানতে পারবেন, তাদের শত্রুর লিস্টে প্রথমে আছে ক্বওমী মাদ্রাসার নাম, সুতরাং এরা ইলম প্রচারের পথেও বাঁধা হিসেবে দাড়িয়েছে | তৃতীয় নাম্বার হলো তাজকিয়ায়ে নাফস বা আত্মশুদ্ধি, জামাত-শিবির এই আত্মশুদ্ধিকেও অস্বীকার করে, যেটা সাধারণত পীর মুরীদির মাধ্যমে হয়, তারা সাফ বলে ইসলামে পীর মুরীদি নাই, এবং তাদের অনেকেই প্রায় সময় পীর মুরীদিকে কটাক্য করে পোষ্ট করে, সুতরাং এরা আত্মশুদ্ধির বিরোধীতা করে এর পথের বাঁধা হিসেবে দাড়িয়েছে | লাস্ট নাম্বার হচ্ছে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা, জামাত-শিবির আল্লাহর এই মহান ফরজ জিহাদেরও বিরোধীতা করে থাকে, তারা তো জিহাদের কথা বলে না, বরং যারা বলে, তাদেরকে কম্বল জিহাদী বলে কটাক্য করে, এবং তারা আল্লাহর পথের মুজাহিদ তালেবানদের বিরোধীতা করেও অনেক সময় পোষ্ট দেই, সুতরাং এরা জিহাদের পক্ষে পোষ্ট কারীদের কে কটাক্য করে আল্লাহর হুকুম মানুষকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করাকে অস্বীকার করে তার পথের বাঁধা হিসেবে দাড়িয়েছে | এবার লক্ষ করুন ! প্রথম তিন প্রকার অর্থাৎ তাবলীগ, ইলম ও তাজকিয়ায়ে নাফস বা আত্মশুদ্ধি এই তিনটা দিয়ে ইসলামের প্রচার - প্রসার হয়, পূর্বের বর্ণণা অনুযায়ী জামাত-শিবির ইসলাম প্রচার-প্রসারের এই তিন পথের পথরোধকারী হিসেবে দাড়িয়েছে, এবং চার নাম্বার প্রকার অর্থাৎ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ, যেটা দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়, পূর্বের বর্ণণা মতে জামাত-শিবির এই পথেরও বাঁধা সৃষ্টিকারী হিসেবে দাড়িয়েছে, এখন আসুন, ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করার পথে বাঁধা হিসেবে দাড়াবে হয়ত কাফের-বেঈমান অথবা তাদের সহযোগী বা দালাল, জামাত-শিবির কে কাফের বলা যাবে না, কারণ তারা আল্লাহ এবং রাসূলকে মানে, এখন বাকী রইল কাফেরদের দালাল, সুতরাং জামাত-শিবির কাফের-বেঈমানদের সহযোগী বা দালাল…

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।