আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবু সতর্ক মুশফিকরা

প্রথম রাউন্ডটা বাংলাদেশের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যুই বটে! বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েও আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ড। তাছাড়া টেস্ট খেলুড়ে অন্য আট দল যেখানে সরাসরি খেলবে সুপার-১০ তথা দ্বিতীয় রাউন্ডে, সেখানে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে পার হতে হবে প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসির নতুন নিয়মের কারণে স্বাগতিক হয়েও সুবিধা পায়নি বাংলাদেশ। অনেকের কাছে আইসিসির এই নতুন নীতিকে প্রহসনমূলক মনে হয়েছে। যদিও ফিকশ্চারে নাম দেওয়া হয়েছে গ্রুপ পর্ব, কিন্তু এটি তো আসলে বাছাই পর্ব! কেননা আট দলের দুই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পাবে মাত্র দুই দল।

ক্রিকেটামোদীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, গ্রুপ পর্বে সহজ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 'এ' গ্রুপে মুশফিকদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, নেপাল ও হংকং। 'বি' গ্রুপে জিম্বাবুয়ের সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সুপার-১০ নিশ্চিত করতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। খেলাটা অনিশ্চয়তার।

ক্রিকেটের সবচেয়ে অনিশ্চয়তার ফরম্যাট টি-২০ বলেই যত ভাবনা! তাই বলে কী আফগানিস্তান, নেপাল ও হংকংয়ের মতো দলকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ আছে? মোটেও না। যদিও অনেকেই ইতোমধ্যে আফগানিস্তানকে জুজু বানিয়ে রেখেছেন। কেননা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেটার চমক দেখাতে ওস্তাদ!

আফগানিস্তান বাংলাদেশের তুলনায় অনেক দুর্বল হলেও টি-২০তে কিন্তু ওদের জয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি। এখন পর্যন্ত ২১টি টি-২০ খেলে ১১ জয় পেয়েছে তারা। আর বাংলাদেশ ৩১ ম্যাচে জয় পেয়েছে ৯টি।

তবে আসল ঘটনা কিন্তু অন্য জায়গায়। আফগানিস্তানের জয়গুলো এসেছে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর সঙ্গে তারা খেলেছেই মাত্র চার ম্যাচ। আফগানরা ভারতের সঙ্গে খেলেছে দুই ম্যাচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচ। চার ম্যাচেই তারা সহজেই হেরেছে।

ভারতের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে ৭ উইকেট ও ২৩ রানে পরাজিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারটি ৫৯ রানের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ১১৬ রানে। এই হারটিই টি-২০ ইতিহাসে তৃতীয় বড় হার। আর নেপাল ও হংকং তো এখনো টি-২০ স্ট্যাটাসই পায়নি।

তাই প্রতিপক্ষকে সম্মান করলেও গ্রুপ পর্ব উৎড়ানোকে সহজ ব্যাপারই মনে করছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যদি নিজেদের খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে আফগান দল কোনো চিন্তার কারণ হওয়ার কথা নয়। আমরা অবশ্যই প্রতিপক্ষকে সম্মান করব। কিন্তু টেস্ট দল হিসেবে আফগানিস্তান, নেপাল কিংবা হংকংকে অবশ্যই হারাতে হবে। এর বিকল্প নেই।

'

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মোকাবিলা করবে আফগানিস্তানকে। ১৬ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচ দিয়েই পর্দা উঠবে টি-২০ বিশ্বকাপের। এরপর গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে ১৮ ও ২০ মার্চ নেপাল হংকংয়ের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। দুটি ম্যাচই হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তবে গ্রুপ পর্ব পার হতে পারলেও বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে সুপার-১০ এ।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে পরের রাউন্ডে বাংলাদেশকে খেলতে হবে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। আপাতত পরের রাউন্ড নিয়ে ভাবতে রাজি নন ক্রিকেটামোদীরা। সবার ভাবনায় এখন শুধুই গ্রুপ পর্ব।

সাধারণ দর্শকরা কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপ।

প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। যদিও এর আগে ২০১১ সালে যৌথভাবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। সফলভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করে বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসা পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এবার টি-২০ বিশ্বকাপের একক আয়োজক বাংলাদেশ। ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ১০০ দিনের ক্ষণ গণনা।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হবে ১৬ মার্চ। ৬ এপ্রিল ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।