আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যারা বলে জিয়াউর রহমান অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হরণ করেছে, সেই হিংসুটে মানুষগুলোকে জবাব দিলাম।

একজন ভাল মানুষ হতে চায়।

দুনিয়াতে চলার পথে সব মানুষের ভুল ভ্রান্তি হয়, দুনিয়াতে এটি একটি স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষের মত রাজনৈতিক দল বলুন বা যেকোন প্রতিষ্টান বলুন তাদেরও ভুল ভ্রান্তি আছে, এখানে উল্লেখ্য মানুষ কখনো নিজের অজান্তে ভুল করে, কখনো নিজে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল করে, কখনো অন্যের খপ্পরে পড়ে ভুল করে, কখনো চাপে পড়ে, কখনো অসহায় আর নিরুপায় হয়ে ব্যধ্য হয়ে ভুল পথে পা বাড়ায় মানুষ। তেমনি আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের অনেক ভুল আছে, আওয়ামীলীগ, বি,এন,পি, জাতীয়পাটি, জামাত শিবির সবার দোষ ত্রুটি আর ভুল আছে, পার্থক্য শুধু কম বেশী। কে কত ভাল বা খারাপ সেই দিকে যাচ্ছি না, শুধু সংক্ষেপে বি,এন,পি ও জিয়াউর রহমান সর্ম্পকে কিছু কথা বলতে চায়।

কথায় কথায় অশ্নীণ গালাগালী আর কুরুচিপূর্ণ উক্তি করা হয় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে, জিয়া, জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছে, অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হরণ করেছে, সেনাবাহিনীর নিয়ম ভঙ্গ করেছে, ইথ্যাদি আরো কত কি। কিন্তু একবারে কেউ কি গভীর ভাবে ভেবে দেখেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর খুন হবার পর পুরো বাংলাদেশ একটি চালকহীন চলন্ত গাড়ীর মত হয়ে গিয়েছিল। চলন্ত গাড়ীর চালক যদি কোন কারণে ফেল করে, কাউকে না কাউকে ড্রাইভিং সিটে বসে হবে অন্তত চলন্ত গাড়ীকে নিয়ন্ত্রণে এনে থামানোর জন্য, গাড়ীর যাত্রীদের প্রাণ রক্ষার জন্য, হঠাৎ যদি চলন্ত গাড়ীর ড্রাইভারের মৃত্যু হয় তখন যে কোন কাউকে ড্রাইভিং সিটে বসে হবে তখন, চিন্তা বা বিচার করার সময় থাকেনা বিকল্প ড্রাইভারের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা, বিকল্প ড্রাইভারের গাড়ী চালানোর মত বৈধ কাজন পত্র আছে কিনা, ঠিক ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুপর জিয়াউর রহমান তাই করেছিল, বঙ্গন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের পুরো শাসন ব্যাবস্থা সম্পর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিল, দেশ মুলত তখন সম্পূর্ণ চালহীন হয়ে পড়েছিল, তখন দেশের সেই বিপদের মুর্হুতে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দায়ীত্ব নেওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু করার ছিলনা, দেশকে বাচাতে তিনি বাধ্য হয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, যদি সেই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর মুর্হুতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার দায়ীত্ব না নিত, অন্য কাউকে তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দায়ীত্ব নিতে হতো, জিয়াউর রহমান সেদিন বীরের কাজ করেছে দেশকে বাচাঁতে তিনি নিজেকে অপরাধী বানিয়েছেন, হয়তো কিছু হিংসুটে লোক বলবেন, জিয়াউর রহমান নিজে নিজে নির্বাচন দিয়ে নিজের ক্ষমতা পাকা পোক্ত করার চেষ্টা করেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যাবহার করে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসীর পরিবর্তে পুরুষ্কার দিয়েছেন, রাজাকার যুদ্ধ আপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ভাঙ্গাচুড়া দেশ, তলাহীন ঝুড়ি, মারাত্বক ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা, র্দুভিক্ষায় হাহাকার, মারাত্বক বিশৃঙ্খলা আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পূর্ণ গঠনই ছিল মুলত জিয়াউর রহমানে কাজ। এই রকম বিপদের মুর্হুতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মুখোমূখী করা তখন জিয়াউর রহমানে জন্য ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব, কে রাজাকার, কে যুদ্ধ আপরাধী সেই বিচারের বিবেচনায় যদি জিয়া যেত, তাহলে সেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পূর্ণ গঠন সম্ভব ছিলনা, কখনো কখনো দেশের জাতীয় শান্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিপদের মুর্হুতে বাধ্য হয়ে অন্যয়কে চোখবুঝে মাথা পেতে নিতে হয়।

জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে যেই যতই গাল মন্ধ করুক, আর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচি মন্তকরুক কোন অসুবিধা নেই, কারণ হিংসুক নিন্ধুকদের স্বাভাব এই রকম হয়ে থাকে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতা আর জাতির পিতার মৃত্যুর পর মারাত্বক করুণ বিপদের মুর্হুতে সম্পুর্ণ ঢুবন্ত নৌকার মত দেশকে তিনি ডাঙ্গায় তুলে এনেছেন, বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহান নেতার মৃত্যুর পর যদি জিয়াউর রহমানের মত দক্ষ শাসক বাংলাদেশ না পেত, হয়তো এই দেশ আজও সোমালিয়া, কঙ্গো, সিয়ারালিওনের মত হয়ে থাকতো। তবে পরিশেষে একটি কথা সাহসের সাথে নিদ্বধায় স্বীকর করতে হবে, আজ বি,এন,পি কিছু অতিউৎসাহী ও চামচা লোক জিয়াউর রহমানকে মিথ্যা স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে গিয়ে জিয়াকে গালাগালীর বস্তু বানিয়েছেন, জিয়া নিজে কোনদিন নিজেকে স্বাধীনতা ঘোষক দাবি করেনি, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলে, যদি আজ সবাই জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রপাঠক বলা হতো, তাতে জিয়ার মান সম্মান আরো বাড়তো, জিয়াকে ভুয়া স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে গিয়ে, জিয়াউর রহমানের সব পাহার সমান মহান অর্জনকে মাঠিতে মিশিয়ে দিয়েছে কিছু সুবিধাবাদী বি,এন,পির চামচা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।