আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেক্সটাইলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী, যারা বিদেশে রিসার্চ বেজড মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে চাও (পর্ব ১)

মরে যাবার জন্যে বেঁচে আছি, সুন্দর কিছু স্বপ্ন নিয়ে...

জুনিয়রদের উপদেশ/পরামর্শ দেয়ার মজাটাই অন্যরকম। কারন, ধরেই নেয়া হয়, ওদের অভিজ্ঞতা কম, ওদেরকে যা বলা হবে সেটাই সঠিক!!! আমি এমন রিস্ক নিতে চাইনা, আমি স্রেফ আমার মতামত দিচ্ছি। সবাইকেই মাস্টার্স/পিএইচডি করতে হবে এমন কোন কথা নেই, বেশির ভাগ ইন্ডাস্ট্রিতেই ব্যাচেলর ডিগ্রী দিয়ে দিব্যি ভালভাবে কাজ করা সম্ভব। কারন, সেখানে উচ্চতর ডিগ্রীর চেয়ে কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বেশি দরকার। বড় জোর এমবিএ করা যেতে পারে।

অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোর্স-বেজড মাস্টার্স করা যেতে পারে। রিসার্চ-বেজড মাস্টার্স এবং পিএইচডি সাধারণত গবেষণা/শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্যে দরকার হয়। সুতরাং, গবেষণা/শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন থাকলেই এই দিকে ঝুঁকি নিতে পারো। ঝুঁকি নেয়ার কথা বলছি এই জন্যে যে, তুমি আইবুড়ো যখন পিএইচডি গবেষণায় ব্যস্ত, তখন তোমার বন্ধুরা বউ-বাচ্চা নিয়ে আনন্দে জীবনযাপন করছে। তাই, স্বপ্ন দেখো বুঝে-শুনে এবং স্বপ্ন সত্যি করার দৃঢ়তা রাখো।

গবেষণার নামে জীবনের সুন্দর সময় নষ্ট করতে না চাইলে বাকি অংশ পড়ার দরকার নাই। আর যদি লাইফে অ্যাডভেঞ্চার চাও, গবেষণার নাম করে ল্যাবে বসে ফেইসবুকিং করতে আর মুভি দেখতে চাও, লেখাটা মন দিয়ে পড়ো। ১. শুনেছি বর্তমানে জিপিএ পদ্ধতি চালু হয়েছে (বিষয়টা ভাল), চেষ্টা করো কমপক্ষে সিজিপিএ ৩ এর বেশি (যত বেশি তত ভাল) রাখার। তবে, মনে রেখো শুধু সিজিপিএ দিয়ে সব বৈতরণী পার হওয়া যায় না, আবার কম সিজিপিএ-ও অন্যান্য যোগ্যতা দিয়ে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। ২. টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসটা মূলত আমাদের দেশের বর্তমান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রীকে মাথায় রেখে বানানো, এটা তোমাকে গবেষণায় উৎসাহ দেয়ার জন্যে না।

তাই, নিজের রাস্তা নিজেকেই খুঁজতে হবে। কিভাবে খুঁজতে পারো তা পরে বলি। তার আগে আরো কিছু বিষয় বলি। ৩. ইংরেজি শিখো। নাহলে আমার মতো খালি বাংলা লিখে যেতে হবে।

ইংরেজি শেখা মানে আমি একাডেমিক ইংরেজির কথা বলছি, হাই ড্যুড-টাইপ ইংরেজি না জানলেও অসুবিধা নাই। জার্ণাল পেপার পড়ে অন্যের গবেষণা যাতে বুঝতে পারো এবং আইইএলটিএস/টোফেলে গ্রহনযোগ্য একটা স্কোর পেতে পারো। আমেরিকা এবং অন্যান্য কিছু জায়গাতে জিআরই লাগে। তাই, তোমার ডেস্টিনেশন যদি ঐদিকে হয়, চর্চাটা আগে থেকেই করা ভাল। ৪. ফেইসবুকিং ছাড়াও অবসরে সময় পেলে হেডফোনে গান শুনতে শুনতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভিজিট করো।

কিভাবে বিভিন্ন প্রফেসরের গবেষণার বিষয় জানতে হয়, সেই প্র্যাকটিসটা হয়ে যাবে। অনেকেই কোন সাইট থেকে দরকারী ইনফরমেশন খুঁজতে জানেনা। ৫. হতাশাকে গুডবাই বলা শিখো। বিফলতাকে অভিজ্ঞতা মনে করো। কারো টিটকারি গায়ে মাখার মানে হয় না।

মাঝে মাঝে আকাশ দেখো। এটা খুব জরুরী। আকাশ দেখো। আগামী পর্বে বাকি কথা বলব।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।