আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ মিনিটের দেখা সেই মনহরিণী

পরীক্ষার পর প্রায় এক মাসের এক বিশাল ছুটি পেয়েছিলাম । ঢাকার যান্ত্রিকতা আর ভাল লাগছিল না । আম্মু বলল নানা বাড়িতে ঘুরে আয় । কোনও কাজও তেমন ছিল না বিধায় ভাবলাম আইডিয়াটা মন্দ না । নানা বাড়িতে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম ।

গ্রামে নেট কানেকশন তেমন ভাল না । কিন্তু তা তেমন লাগে না । ঘুরতে ঘুরতে টাইম ঠিকই পাস হয় । ঢাকাতে ঘুরার জায়গা থাকে, কিন্তু ওতটা আন্তরিক লাগে না । যাই হোক ।

এক সপ্তাহ পর ফিরে আসার পালা । আসার সময় নানাভাইকেও সাথে নিয়ে আসলাম । মামা সকালের ট্রিপের টিকেট যোগার করে দিলেন । নানাবাড়ি রংপুরে । ঢাকা আর রংপুরের রাস্তা তখন একদম নাজেহাল অবস্থা ।

এইজন্যে আমি সাধারনত রাতের ট্রিপে যাতায়াত করি । কিন্তু এইবার ?? ঝাঁকি-ঝুঁকিতে আমার অবস্থা পুরা পাংচার ... ( ) । শেষ পর্যন্ত বাস একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে থামল । ২০ মিনিটের যাত্রা বিরতি । আমি সাধারনত নামি না ।

নানাভাই নামলেন হালকা হতে । আমি বাসেই বসেছিলাম । জানালা দিয়ে হালকা বাতাস আসছিল । হঠাৎ একটা বাস আসল আমাদের বাসের সামনেই । বাসটা ঢাকা থেকে হয়তো ফিরছে ।

আমাদের সামনে বিপরীতমুখী করে থামল বাসটি । সামনের ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম । বাসটা ভিউ পুরা ব্লক করে দিল । কি আর করার... হঠাৎ করে দেখি বাসের ঠিক মাঝামাঝি সিটের দিকে একটা বোরকা পরা মেয়ে । কিছুক্ষন পর মুখের নেকাবটা খুলল ।

সাড়া চোখে মুখে ক্লান্তির স্পষ্ট ছাপ । ধবধবে ফর্শা গড়নের মেয়েটি । কিছুক্ষন একনজরে তাকিয়ে ছিলাম । একটু পড়ে দেখলাম আমাদের বাসের দিকে তাকাতে যাচ্ছে । তাড়াতাড়ি নিজের নজর ঘুরিয়ে বাসের ভিতরে নিয়ে আসলাম ।

এদিকে দেখি বাস প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে । নানাভাইও একটা বার্গার নিয়ে পাশে এসে বসলেন । আমি বার্গারটা মুখে পুরলাম । বাস চলতে শুরু করল । আরেকটা পলক দেখার জন্যে তাকালাম ।

দেখলাম এখনও রূপসী নামেনি । হঠাৎ করে আমার দিকেই তাকাল । মনে হয় জাস্ট এক মিলিসেকেন্ডের একটা চোখাচোখি । হাহ... নাম-ধাম কিচ্ছু জানা হলনা সেই মনহরিণীর...  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।