আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথে জঙ্গিহানা রুখতে সুন্দরবনে চালকহীন নৌ-বিমানের নজরদারি

মমানুষ মানুষের জন্য

৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ মুম্বই হামলার ধাঁচে জলপথে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চালকহীন বিমানের পাশাপাশি নাইট ভিশন র্যাডার বসাচ্ছে ভারতীয় নৌ-সেনা কর্তৃপক্ষ৷ মূলত, বাংলাদেশে জামাত-এর বাড়বাড়ন্ত ভাবিয়ে তুলেছে সেনা বাহিনীকে৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্হার রিপোর্ট অনুযায়ী হুজি জঙ্গিরা ফের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এই জলপথকে ব্যবহার করে৷ তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এই সিান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বিএসএফ ও ভারতীয় নৌ-সেনার তরফ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ সেই সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সুন্দরবনের ১৩২ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্হায় পড়ে রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধিদল সুন্দরবন পরিদর্শনে আসেন৷ এমনকী স্বরাষ্ট্রদফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিজেও জলপথে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন৷ কিন্ত্ত তারপরেও এই বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত অবস্হায় পড়ে থাকায় চিন্তিত নিরাপত্তা সংস্থা৷ তাই একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, উত্তর ২৪ পরগনার সামশেরনগরেরয়েছে একটি বর্ডার আউট পোস্ট৷ যা দেখভাল করে বিএসএফ৷ যদিও এই আউটপোস্ট মূলত ‘ল্যান্ড আউট পোস্ট'৷ এই এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে যে নদীপথ রয়েছে সেখানে ৩ টি ভাসমান আউট পোস্ট রয়েছে৷ এগুলির মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ৷ একাধিক বাংলাদেশি জলযান প্রতিদিন এই পথ ধরেই ভারতে আসে৷ প্রথমে জলযানগুলিকে তল্লাশি করা হয় হেমনগর এলাকায়৷ তারপর নদীপথে সুন্দরবন হয়ে জলযানগুলি চলে যায় নামখানা বা কলকাতার দিকে৷ পূর্বে তল্লাশি করা হত নামখানায়৷ বিগত বছর থেকে সেই তল্লাশি হচেছ হেমনগরে৷ এর পরেও দেখা যাচেছ বিস্তীর্ণ অংশ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ নৌ-সেনার তরফ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হচ্ছে, হেমনগরে কাগজপত্র তল্লাশি চালানো হলেও তাতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে৷ কী রকম ফাঁক? এক সেনা কর্তার কথায়, "জলযানে প্রতিটি কোণ পরীক্ষা করা হয় না৷ কাগজপত্র দেখা হয়৷ কিন্ত্ত সত্যিই কি উদ্দেশ্যে এই জলযানের ভারতের জলপথে আসা তার উত্তর মেলে না৷" যা থেকে নৌ-সেনা আশঙ্কা করছে, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা অবাধেই বিস্ফোরক নিয়ে প্রবেশ করতে পারে৷ অপরদিকে, এই সমস্ত জলযান একাধিক জায়গায় অপেক্ষা করে৷ বিশেষ করে রাতের বেলা জলযানগুলিতে কারা যাতায়াত করছে তা জানা যায় না৷ পাড়ের গ্রামগুলি থেকে কারা যাতায়াত করছে তাও জানা যায় না৷ অভিযোগ উঠেছে, ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে একাধিক জন সেই বাংলাদেশি জলযানের পাশে যাতায়াত করে৷ মুম্বই হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এই ডিঙি নৌকার ব্যাপারে সচেতন হতে চাইছে নৌ-সেনা৷ সমস্যা মেটাতে এবার একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করল ভারতীয় নৌ-সেনা৷ খুব শীঘ্রই বিএসএফ তাদের ভাসমান আউটপোস্টের সংখ্যা বৃ‌দ্ধি করছে৷ ছ'টি অতিরিক্ত আউটপোস্ট নিয়ে আসা হচ্ছে৷ যেগুলি সারাদিন ধরে নদীপথে তল্লাশি চালাবে৷ নজরদারি চালানোর জন্য বেহালা বিমানবন্দর থেকে তিনটি চালকহীন বিমান ও ইউএভি ওড়ানো হবে৷ এই সমস্ত বিমান মাটি থেকে দশ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে গেলেও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবে৷ এছাড়া একটি কণ্ট্রোলরুম তৈরি করা হবে৷ অন্যদিকে ভারতীয় নৌ-সেনারা একটি কোস্টাল ব্যাটারি তৈরি করবে৷ এছাড়া জলযানগুলিকে চিহিত করতে চালু করা হচ্ছে এআইএস সিস্টেম৷ এই জলযানগুলিতে তল্লাশি চালাতে পারবে উপকূলরক্ষায় নিযুক্ত পুলিশ৷ মুম্বই হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সুন্দরবন এলাকায় নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সূত্র : http://sangbadpratidin.in/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।