পৃথিবীতে অনেক মানুষ। সবারই দুটি চোখ কিন্তু এদের বেশিরভাগই অন্ধ। একটি দোকানে বসে অপেক্ষা করছি। দোকানের ঠিক বাইরেই ৫ টা ছেলের দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। কথাবার্তা শুনে বুঝা গেল সবাই বিভিন্ন প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র।
এদের বয়স হবে ১৯/২০ বছর।
বেশ দূর থেকেই আরেক তরুণের উত্তেজিত চিকৎার শুনা গেল, “দোস্ত পটাইয়া ফালাইছি। ”
ছেলেটি কাছে আসতেই দু’জন জিজ্ঞেস করলো, - কোনটা পটাইছস ?
- আরে, ওই যে সিটি কলেজের টা। মাত্র ডেটিং কইরা আসলাম।
- শালা, তুই এই পর্যন্ত কয়টা করলি ? - বাহুতে ঘুষি মেরে এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলো।
- এইটা লইয়া ২৬ টা হইলো !
আরেক বন্ধু ব্যঙ্গ করে জিজ্ঞেস করলো,- তুই কি ২৬ টা গার্লফ্রেন্ডই একসাথে সামলাছ?
- আরে গাধা, এখন রানিং আছে ৩ টা। বাকীগুলা তো ব্রেক আপ হইয়া গেছে। কিছু খাইয়া ছাইড়া দিছি, আর কিছু খাইতে দেয়া না দেইখা ব্রেক কইরা দিছি। তবে এইটার সাথে লং টাইম রিলেশান করুম। বেশ টাকা পয়সাওয়ালা নাকি শুনলাম।
এই কথাগুলো শোনার পর আমি ছেলেটির চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম এবং ভাবলাম,
- এই ছেলেটিকে হয়তো মা এখনও মুখে ভাত তুলে খাওয়ায় এই ভেবে যে ছেলে আমার এখনও খোকাই রয়ে গেছে।
- এই ছেলেটির সব আবদার বাবা হয়তো পুরা করেন কারণ তিনি মনে করেন ছেলেটি তার এখনও যে সেই ছোট্ট্রটি রয়ে গেছে।
- এই ছেলেটির বোন হয়তো ভাইটিকে প্রচন্ড ভালবাসে কারণ ভাইটি তাহার কিছুই বুঝে না।
- এই ছেলেকে নিয়ে সমাজ সপ্ন দেখে এরাই তো আগামীর সম্ভাবনা।
কথাকোপথনগুলো আমার মনে অনেক গভীর দাগে কেটেছে।
এই তারুণ্য্ই কি আমরা চেয়েছিলাম ?? ..... Shame ! Shame ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।