আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহজ গ্রুপে আর্জেন্টিনা

লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার ‘এফ’ গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও ইরান। প্লে-অফে পর্তুগালের কাছে হেরে আগেরবার স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনা এবারই প্রথম খেলছে চূড়ান্ত পর্বে।
শুক্রবার ব্রাজিলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের ড্রর পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেইয়া বলেন, “যদি ‘গ্রুপ অপ ডেথ’ এর কথা বলেন, তাহলে বলবো আমি ভাগ্যবান, এড়াতে পেরেছি। ”
বেলো রিজঞ্চে বিশ্বকাপের সময় ঘাঁটি গড়বে আর্জেন্টিনা। ম্যাচগুলো খেলতে লম্বা কোনো সফর নেই।

তাই দেশকে তৃতীয় শিরোপা এনে দেয়ার স্বপ্ন দেখা কোচের কণ্ঠে সন্তুষ্টি।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সেরা দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত দলটির কোচ বলেন, “দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের তাৎপর্যপপূর্ণ মারাকানা স্টেডিয়ামে আমাদের যাত্রা শুরু হবে তাই আমরা গর্বিত। আর্জেন্টিনা চার দলের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী স্বীকার না করলে আমাকে ভণ্ড বলা হবে। "
ইউরোপ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা বসনিয়া-হার্জেগোভিনার কোচ সাফেত সুসিচ বলেন, “অন্য গ্রুপগুলো দেখে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনার সঙ্গে এক গ্রুপে পড়লেও আমাদের অসুখী হওয়ার দরকার নেই।


তিনি মনে করেন, শক্তিতে পিছিয়ে থাকা ইরান নয়, নাইজেরিয়ার সঙ্গেই হবে দ্বিতীয় দল হিসেবে নক আউটে যাওয়ার মূল লড়াই।
ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোস আপাতত প্রস্তুতির দিকেই মনযোগ দিতে চান।
“কঠোর পরিশ্রম করলে আমদের সামনেও চমৎকার সুযোগ রয়েছে। আমাদের জন্য বাছাই ছিল নরকতুল্য আর এই গ্রুপিং স্বর্গের মতো। এইসব দলের বিপক্ষে খেলা সম্মানের।

চলুন ভাবি, আমরা আর্জেন্টিনার মাথা ব্যথার কারণ হবো, স্বপ্নের জন্য তো আর কাউকে বিল দিতে হবে না!”
নাইজেরিয়ার কোচ স্টেফান বেশি উদ্বিগ্ন তিন প্রতিপক্ষের ভিন্ন ধরনের ফুটবল নিয়ে। ইরান ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা নিয়ে খুব বেশি কিছু না জানা নিয়েও অস্বস্তি রয়েছে তার। তবে বিশ্বকাপে আসা কোনো দলকে নিয়েই ভীতি নেই জানিয়ে বলেছেন, আপাতত প্রথম ম্যাচের দিকেই তার সমস্ত মনযোগ। মুখোমুখি লড়াই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া লড়াই নতুন নয়। ২০০২ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি।


২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ১-০ ব্যবধানে জেতা আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়ার কাছে কখনো হারেনি। ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই জেতা আর্জেন্টিনা ড্র করেছে অপর ম্যাচটিতে।
আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড় মেসি আর নাইজেরিয়ার প্রাণভোমরা জন ওবি মিকেল বয়সভিত্তিক দল থেকেই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০০৮ সালে অলিম্পিকের ফাইনাল আর গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হলেও কখনোই হারেনি মেসির আর্জেন্টিনা।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা।

গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে সাবেইয়ার শিষ্যরা জিতেছিল ২-০ গোলে।
১৯৯৮ সালে হংকংয়ে একমাত্র দেখায় ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল নাইজেরিয়া।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে পাঁচবার খেলেছে এশিয়ার পরাশক্তি ইরান। এর মধ্যে চারটিতেই জিতেছে ইরান, ড্র হয়েছে অপর ম্যাচটি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।