আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পীর মিসবাহ একাই চষে বেড়াচ্ছেন

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুজনের কেউ মাঠে নেই। একাই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। গ্রামে গ্রামে হাটবাজারে ভোটারদের শোনাচ্ছেন শান্তি ও উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনের কথা। তিনি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ভোটারসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। রাতে ও দিনে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুবলীগের এম এনামুল কবীর ইমন চার দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর কেবল শহর ও বাসায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনী এলাকায় ছুটতে পারেননি। এরশাদের সঙ্গে সমঝোতা হলে আসনটি জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দেওয়া হবে, এমন খবরে তিনি লবিং করতে ঢাকায় পড়ে আছেন, প্রয়োজনে নাকি লন্ডনও যেতে পারেন। এদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।

মনোনয়ন জমাদানের পর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে বিশাল শোডাউন করে। তিনি পাঁচ দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। দুই দিন আগে তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমানকে নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর দোয়াও চেয়েছেন। মুকুটের দলীয় কর্মীরা তার অপেক্ষায় আছেন।

ইমনের পক্ষে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ শুরু থেকেই আছেন। তারা এখন হতাশ।

জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ মনোনয়ন প্রাপ্তির পর দিন থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। বাসায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সতীর্থদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ ও মন জয় করার চেষ্টা করছেন সাধারণ ভোটারদের।

সম্প্রতি তিনি গৌরারং ইউনিয়ন, আফতাবনগর ইউনিয়ন এবং মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি পৌর শহরের মলি্লকপুর ও ওয়েজখালিতে গণসংযোগ করেন। পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। এ ছাড়াও সন্ধ্যায় শহরের বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন দোকানে দোকানে। এর আগে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

তিনি কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন উঠোন বৈঠকেও। বাজার সভা করছেন আর বলছেন, আমি সাধারণ পরিবার থেকে আসা গরিব মানুষ। আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, সঙ্গে আছি, সঙ্গেই থাকব। নির্বাচন হলেও আছি, না হলেও আপনাদের দুয়ারে দুয়ারেই থাকব।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জুলুম, নয়, ক্ষমতার দম্ভ নয়, ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারিত্ব প্রতিষ্ঠা করব। আমার জীবন প্রতিটি দিন খোলা বইয়ের মতো আপনাদের সামনে থাকবে। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা, সমর্থন পেলে নিজের নয়, এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন আনব। তার বক্তৃতা মানুষকে কাছে টানছে। ব্যাপক সাড়া ফেলছে।

দেখা গেছে, পীর মিসবাহর সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তার প্রচারণায় শহরের পরিচিত তরুণ ক্লিন ইমেজের সমাজসেবীদের দেখা গেছে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।