আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বামীর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের সময় লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের ৪ দিন পর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জলিলের (৩০) হাত বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে শহরের শীতলক্ষ্যা এলাকাতে একটি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশষ্টি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। নিখোঁজের পর ঘটনা জানাতে আজ দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগ মুহুর্তে লাশ উদ্ধারের খবরটি আসে।

আবদুল জলিলের স্ত্রী সীমা বেগম জানান, আবদুল জলিল এলাকাতে ক্ষুদ্র ব্যবসার পাশাপাশি জমিজমার ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ির সামনে ১৮ শতাংশের একটি পুকুরে জলিলের ওয়ারিশান সম্পত্তি রয়েছে। ২০০৯ সালে হঠাৎ করে ওই এলাকার মসজিদ কমিটি এবং বড় বাড়ির লোকজন পুকুরটি অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক ভরাট করে ফেলে। পরে ওয়ারিশনরা জোটবদ্ধ হয়ে জলিলকে পাওয়ার দিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ ২য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।

মামলায় আসামী করা হয় পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৭), আব্দুল কাদিরের ছেলে আহাম্মদ মিয়া (৪৬), মৃত মুনসুর আলীর ছেলে আশরাফুল হক (৪৫), মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: শফিকে (৫০)।

মামলার আসামী ও তাদের সহযোগীরা জলিলকে নানাভাবে হুমকি ধমকী ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এ ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর স্বামী আব্দুল জলিল ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেল ৪ টা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সেদিন মামুন নামের এক যুবক আবদুল জলিলকে ডেকে নিয়ে যায়।

সীমার দাবী, মামলার অভিযুক্তরা মিলেই আবদুল জলিলকে হত্যা করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।