আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতি,চাঁদ ও বুবু বিষয়ক রসায়ন



একরাজ্যে এক জাতিরকইন্যা আছিল। কইন্যার সে কি নামডাক, সে কি পাওয়ার, হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না অবস্থা। রাসায়নিক ভাবে কইন্যা আছিল ধাতুর মত সক্রিয়,ধাতু যেমন রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় ইলেকট্রন দান করে ঠিক তেমনি জাতিরকইন্যাও পাশের রাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ার জন্য নিজের দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। যে কারনে পাশের রাজ্যের সাথে তার সম্পর্ক ছিল আয়নিক বন্ধনের মত যা ভাংগার নয়। হঠাৎ কইন্যা একদিন ঘুমের মইধ্যে স্বপ্নে দেখলেন চাঁদের. বুড়ি তাকে হাত নেড়ে ডাকছেন, আয় বুবু আয় চাঁদের দেশে আয়; চাঁদের লোকজন তোরে একটু দ্যাখবার চায় : যেই না বুবু চাঁদের বুড়ির দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তার ঘুম. ভেঙে যায়।

রাজ্যের শত কাজের চাপে বুবু স্বপ্নের কথা প্রায় ভুলতেই বসছিলেন কিন্তু সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই বুবু একই স্বপ্ন আবার দেখেন। পরপর বেশ কয়েকদিন বুবু একই স্বপ্ন দেখতেই থাকেন। অবশেষে বুবু বিরক্ত হয়ে স্বপ্ন নয় এবার তাকে বাস্তবেই চাঁদে যেতে হবে। চাঁদের লোকজনের আবেদন না করা যাবে না। বুবু জরুরি ভিত্তিতে উজির সভা ডাকলেন, সেখানে তিনি তার চন্দ্রভ্রমনের আকাংখার কথা জানালেন।

উজিরগন বললেন হুজুর মাতা আপনি যাহা বলবেন তাহাই সই। বুবু সবাইকে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে বললেন। পরদিন থেকেই রাজ্যের সকল বড় বড় বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়াররা বুবুর চন্দ্রাভিজানের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলেন। বেশকয়েক মাসের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অবশেষে তারা বুবুর জন্য চন্দ্রযান তৈয়ার করতে সফলকাম হইলেন। যার নাম দেওয়া হইল চন্দ্রযান ১৫ নির্দিষ্ট দিনে ঢাকঢোল পিটিয়ে বুবুর চন্দ্রাভিজান শুরু হইল।

কয়েক মিনিট পরে বুবু জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলেন ওঁমা একি তিনি মহাশূন্যে চলে এসেছেন। কছুক্ষণ পরে বুবু সামান্য ধাক্কা অনুভব করলেন। চন্দ্রযান কোথাও ল্যান্ড করেছে মনে হল,কিন্তু চন্দ্রযান তো চাঁদ ছাড়া অন্য কোথাও ল্যান্ড করার কথা নয় তাহলে কি তিনি চাঁদেই চলে এসেছেন। বুবু দুরুদুরু বুকে বাইরে বের হলেন, কিন্তু তিনি আশ্চর্য হলেন চাঁদের বুড়ি তো দূরের কথা কেউ তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেননি। বুবু কিছুটা টেনশিত হল,তিনি পথ ভুলে অন্য কোথাও আসেননি তো।

এই কথা ভাবতে ভাবতে তিনি চারপাশে তাকাইতে তাকাইতে সামনের দিকে অগ্রসর হইতে থাকিলেন। হঠাৎ বেখেয়ালী মনে বুবু একটি গর্তের ভিতরে পতিত হইলেন। বুবু তো মহাফাপরে পড়িলেন, গর্তের একপাশে সামান্য. ঢালু ছিল বুবু দৌড়ে সেখান থেকে উঠতে গেলেন, কিন্তু ুুুুুুুুুুুুুুুপারলেন না হোচট খেলেন। বুবু কি করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না,হঠাৎ কি মনে করে দিলেন জোরসে এক লাফ। ইেেেেেেেেেেেয়েস এক লাফেই কেল্লা ফতে।

বুবু আনন্দে চিৎকার করতে থাকলেন। বুবু চন্দ্রযানের দিকে হাটা শুরু করলেন। কিন্তু এ!কি!!তিনি নিচে পড়ে যাচ্ছেন নাকি চন্দ্রযান উপরে উঠে যাচ্ছে তিনি ঠিক বুঝতে পারলেন না। বুবু অবশেষে বুঝতে পারিলেন তার চন্দ্রযানই তাকে রেখে চলে যাচ্ছে। বুবু জোরেেেেেেেে এক দৌড়. দিয়ে চন্দ্রযানের নিচে এসে হাজির হলেন কিন্তু হায় এক্কি চন্দ্রযান যে তার ধরাছোঁয়ার বাইরে।

@বুবু দিলেন জোরসে এক লাফ লাফের পর লাফ কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ। বুবু কিছুই করিতে পারিলেন না। অবশেষে জাতিরকইন্যা ওরফে বুবু ..............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।