আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই সতীনে যুদ্ধ করবে কিন্তু কেউই চাইবেনা জামাই মারা যাক (লেখাটি প্রথম আলোতে একজন কমেন্ট করেছে ভাল লাগল তাই শেয়ার করলাম) (লেখাটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)



ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানকে নাগ গলানোর সুযোগ সৃষ্টিকারী দুই রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাউকেই যেমন একজন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমা করতে পারিনা ঠিক তেমনি ভারতের এবং পাকিস্তানের অতি নাগ গলানোকে শুধু ধিক্কারই জানাইনা, বরং বলিষ্ট কণ্ঠের হূংকারী হূশিয়ার উচ্চারণ করি। পাশাপাশি যারা ভারতকে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসাবে ভেবে বড় বড় বুলি আ‌ওরান তাদের উদ্দ্যেশ্যে সবিনয়ে স্বরণ করিয়ে দিতে চাই, একটু চ‌োখ-কান খোলা রেখে তাকিয়ে দেখেন সারাবিশ্বের কোন্ জায়গায় ভারত-পাকিস্তানিদের মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয়। কোথাও না। গণ্য করা হয়না যৌক্তিক কারণ বশতই। পৃথিবীর প্রায় অর্ধশত দেশ আমি ঘুরে বেরিয়েছি।

পৃথিবীর কোন দেশের জনগণই ভারত-পাকিদের মানুষ হিসাবে মনে করেনা এবং এটা হাজারও যৌক্তিক কারণ বশতই মনে করেনা। ‌আমরা বাঙালি জাতি হিসাবে এতটাই দূর্ভাগ্য যে শুধুমাত্র শারীরিক এবং ভৌগলিক অনেকটা মিল থাকার কারণে আমাদেরকে‌ও প্রায় সময়ই ইন্ডিয়ান-পাকি ভেবে হতে হয় নিগৃহীত-লাঞ্চিত। যেমনটা আমরা মনে করি চায়নীজ-জাপানিজ কিংবা কোরিয়ানদের বেলায় - যদিও এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অন্যের চেয়ে সম্পপূর্ণ ভিন্ন। ভারত-পাকিরাযে কতটা নিম্ন প্রজাতির মানুষ হিসাবে গণ্য তার একটা মজাদার প্রমাণ মেলে সম্প্রতি লণ্ডনের জনপ্রিয় দৈনিক ‌দ্য সান এর ভিন্ন ধর্মী জরিপের ফলাফলে। এই জরিপটি ছিল এই রকম - ইংল্যাণ্ডের বেশ্যালয়ের ৯৯ ভাগ গণিকাই সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে ইণ্ডিয়ান এবং পাকিস্তানি খদ্দেরদের।

তার অর্থ হচ্ছে পৃথীবির নিকৃষ্টতম জায়গার মানুষও ইণ্ডিয়ান এবং পাকিস্তানিদের পছন্দ করেনা যেখানে আমরা তাদেরকে বন্ধু-বন্ধু বলে বুলি আওরাই প্রতিনিয়ত। পাকি এবং ভারতীয়দের নরপশুত্বের লক্ষ-কোটি প্রমাণ দেয়া যাবে। সুতরাং ভারত-পাকিস্তানিদের থেকে সাবধান। আজকাল গণতন্ত্রের নতুন নতুন সঙ্গা নিয়েও অনেকে বুলি আওরান। আমারও এই সুযোগে একটা সঙ্গা দিতে ইচ্ছে হয়।

তবে এই সঙ্গাটি ছোটদের পড়তে মানা বিধায় আমি শুরুতেই এই লেখাটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য বলেছি। একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। এক বাচ্চা রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল - বাবা গণতন্ত্র মানে কি? বাবা উত্তরে বলতে শুরু করল - গণতন্ত্র মানে হলো এই ধর এই ঘরে তোরা দুই ভাই-বোন হচ্ছিস জনগণ, তোর মা হচ্ছে রাষ্ট্র আর আমি হচ্ছি সরকার। এতটুকু বলতেই বাচ্চা বাবাকে বল্ল - বাবা খুব ঘুম পাচ্ছে। বাবা বল্ল - ঠিক আছে ঘুমাতে যা।

সকালে বাকিটা বলব। আঁধরাতে হিশি করার জন্য বাচ্চা দুটো ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার পথে জানালা দিয়ে দেখে তার বাবা তার মায়ের সাথে সেক্স করছে। তো তারা টয়লেট থেকে এসে ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে বাবা ডাক দিয়ে বল্ল - কইরে রাতে বলছিলিনা গণতন্ত্র মানে কি। ছেলে বলে উঠল - আমি জাইনা গেছি গণতন্ত্র মানে কি? গণতন্ত্র মানে হলো - সরকার রাষ্ট্রেরে পুটকি মারে আর জনগণ চাইয়া চাইয়া দেখে।

আজ যে দুই নেতৃত্বের পূঁজা আমরা করি- যাদের নেতৃত্বের রদবদল হয় প্রতি পাঁছ বছর অন্তর, তারা বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রের কি বারটা বাজাচ্ছেন তারকি একটুও দায়ভার আমাদের আপামর জনসাধারণের নেই? আমরা কি কেবল চেয়ে চেয়েই দেখে যাব? এমনি করেই কি জগৎ জুরিয়া মার খাবে হে দূর্বল? একবারও কি বলে উঠতে পারিনা - আমিকি ডরাই সখী ভিখারীর লাঘবে? আর এই দুই নেতৃত্ব কি একবারের জন্যও ভারত - পাকি তথা গোটা বিশ্বকে বলে দিতে পারেননা - আমরা দুই সতীন যতই ঝগড়া করিনা কেন - কেউই চাইবনা আমাদের জামাই (দেশ) মরে যাক। খবরদার এই সোনার বাংলার দিকে কেউই হাত বাড়াবানা। আমাদের আছে এই তরুণ প্রজন্ম - যেই তরুণ প্রজন্ম নামক রাষ্ট্রের মহাশক্তিক অস্ত্রের আঘাতে ভেঙ্গে দিতে পারি জাতির পতাকাকে খামছে ধরা যেকোন পুরাণো শকুণের দাঁত। নূরুজ্জামান শাহীন - লণ্ডন সময় রাত ১টা ৪০ মিনিট ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।