আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবিধ গ্রাফাইট রান্নাবলী; (ক্লোজড)

ভালোকে আমার ভয়,ভালো বেশীদিন থাকবেনা... মন্দকে আমার ভয়, কেননা আমি দুর্বল, আঘাত সইতে পারবোনা... সাফল্যকে আমার ভয়, ব্যর্থতাকেও ভয়... নিরন্তর ব্যস্ততার মহাকালে আমার করণীয় কিছুই নেই... যোগ্যের পৃথিবীতে আমি অযোগ্য, অধম...

গত দুই পর্বের আঁকিবুঁকি দেখে কিছু মানুষ আমার পেন্সিলের খোঁচায় নিজেদের চেহারা বিকৃত করার ইচ্ছে প্রকাশ করায় এই অকাজ করলাম। কাওকে চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই, ইন ফ্যাক্ট আমি অ্যাম এ গুড আর্টিস্ট। নিজ দায়িত্বে নিজেকে খুঁজে নিবেন। সবার শেষে কুইজের উত্তর দেয়া আছে। এই শেষ।

এরপর আর কোনদিন চেহারা আঁকার চেষ্টা করবো না। আমি অনেক বড় শিল্পী তো, বেশি সৃষ্টি শেষে ভাতে মরবো। জনগণের সুবিধার্থে আমার ছবি আঁকার প্রসেসটি নিম্নরূপঃ প্রথমে একটি ছবি নিই। তারপর তাকে ফটোশপে নিয়ে Desaturate করি। তারপর Contrast বাড়িয়ে দিই।

এরপর রুলার সেট করে ছবিটিকে কুঁচি কুঁচি করে গ্রাফে রূপ দিই(ইজ্জতের খাতিরে এখানে বড় কুঁচি করা হল)। কখনো কখনো ফিল্টার থেকে ষ্ট্যাম্প কিংবা ফটোকপি ফিল্টার দিই। এরপর ল্যাপটপের সামনে কোমর বেঁধে বসে শুরু হয় চিত্রাংকনের কাজ। সে এক বিরল এবং অভূতপূর্ব দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখে দেখে আমার মাতা এবং ভগ্নীদ্বয় যারপরনাই বিরক্ত।

সো.. দ্যা চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজড ফরএভার। আজকালকা ফরএভার নেহি। পুরানে জামানেওয়ালা ফরএভার। লেট আস ডিসকাস দ্যা মেইন টপিক। ** সুন্দর মানুষের ছবি আর কোনদিন আঁকবো না, এই কানে ধরলাম।

আঁকতে বসলেই মনে হয়- হায় হায়! এই বুঝি অত সুন্দর চেহারাটা দিলাম শেষ করে! (শিপু ভাই সি সুন্দরীর ছবি এঁকেছিলেন। আমি আগে টের পেলে এই দুঃসাহসিক কাজে নামতাম না!! ) ইহা একটি বিনিময়যোগ্য ছবি। আগামী এক বছরের প্রেসক্রিপশনের আগাম ব্যবস্থা করে নিলাম। ** একটা বাবুই পাখি আর বাবুই পাখির বাসা আঁকলাম। ( পাখির বাসা আমার উপর অযথাই কেন রাগ পুষছেন জানিনা।

আমি কারো খোঁজ খবর নিই না, আমি এরকমই। আমার অভ্যাসকে ইগো ভাবলে হবে না। আমি নিঃসন্দেহে ভালো মেয়ে। *সেলফ সার্টিফাইড*। ) ** মূলত গল্পকার।

তবে উনার নামের পাশে ব্যারিস্টার শব্দটা লাগাতে কেন যে এরকম আনন্দ পাই, জানিনা। (ছবিতে ব্যারিস্টার বানান ভুল। বাংলা লেখা ভুলে যাচ্ছি। ) ** ইনাকে চিনি বললে ঠিক হবেনা, চিনিনা বললেও ভুল হবে। আমাকে একটি বিশেষ নামে সম্বোধন করেন! যা-ই হোক, সেদিন কোথায় দেখে আসলেন কেউ স্কেচ করছে, তাই আমাকে নিজের ছবিটা দিলেন।

একদম প্রথমবার দেখা তাই স্কেচ তার আসল চেহারার ধারেকাছেও যায়নি(অবশ্য কোনদিন-ই যায়!) ** গল্পকার ভাই একজন। সরাসরি ছবি পাইনি। একজন স্পাইয়ের সহায়তায় উনার ছবি উদ্ধার করেছি। তবে এই ছবিটা আঁকতে ভাল লাগেনি। সিগারেট ভাল না।

** ইনি বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী( তবে গল্প উপন্যাস লিখেন, ফিল্ম বানান, একজন অসাধারণ ফটোগ্রাফার)। অনেকেই তার ছবি এঁকেছেন। উনার জীবন ধন্য করে দিতে আমিও আঁকলাম। ** দেশী মানুষ। কমপ্লেইন করতে করতে করতে শেষ।

আরে ভাই, ছবি না পেলে স্কেচ করি কি দিয়ে বলেন!! দেখলেন, ছবি দিয়ে দিলাম, কিছুদিনের মধ্যেই পছন্দের রঙ নিয়ে ব্যাক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যও লিখে দিব। ওকে? ** শব্দ নিয়ে খেলেন। প্রোফাইল থেকে এই ছবিটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ হল ( চোখে গ্লাস, আঁকতে সুবিধা হবে, তাই )। ** ইনি একজন শুভ্রা। একদিনের পরিচয়ে না জেনে না দেখে একজন মানুষ এতো আপন হতে পারে, আমি কথা বলি আর বিস্মিত হই।

পরজন্মে আমার নাম এরিস হবেনা, হবে শুভ্রা, যে মুহূর্তেই সব নিজের করে নেয়। ** এটা আমি। পরিশিষ্টঃ মাহমুদ০০৭ এর স্কেচ করার কথা ছিল। তিনি আমাকে মেইল করেননি। মামুন রশিদ ভাইয়ের চেহারা কল্পনা করে আঁকতে বলেছিলেন।

আই অ্যাম ফেইলড। ক্ষমা চাই। প্রথম ছবিটি বীথি আপা'র। অপর্ণা আপা আর বাবুই। নাজিম ভাই।

অদ্ভুত উদাসীন। কাণ্ডারী ভাই। সাদাত ভাই। স্নিগ্ধ শোভন । স্বপনবাজ।

শুভ্রা আপা। কাল্পনিক আমি। এই পোস্ট অনেক আগে দেয়ার প্ল্যান ছিল। অবরোধের কারণে হয়নি। কাকতালীয়ভাবে আজ ব্লগের একটা উৎসবমুখর সময়ে পোস্ট দেয়া হয়ে গেল।

সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন বীথি আপা। থ্যাংকস। ওয়ান্স এগেইন, দ্যা চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজড ফরএভার। আজকালকা ফরএভার নেহি। পুরানে জামানেওয়ালা ফরএভার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।