আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি তল্লাশি ছাড়া কোনো যানবাহন ও যাত্রীকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শাহজালাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এম কে জাকির হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু এটি দেশের প্রধান বিমানবন্দর, তাই এর নিরাপত্তা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। ”
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
এ বিমানবন্দরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শুধু শাহজালাল বা শাহ আমানতেই নয়, দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তাই বাড়াতে বলা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।


এদিকে নাশকতার ‘উড়ো হুমকি’র পর বুধবার রাত থেকেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের মূল প্রবেশপথসহ দুইটি পয়েন্টে তল্লাশি করে যাত্রী ও যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।
বিমানবন্দর এলাকায় নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য।
বুধবার রাতেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ, বিজিবি, বিমানবাহিনী, র‌্যাব সদস্যদের একটি সমন্বিত বৈঠকও হয়। এরপর বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চলে।
এর আগে গত শনিবার রাতে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকেই বিমানবন্দরের দর্শনার্থী গ্যালারি এবং কনকর্ডস হলে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।





শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. নূর-ই-আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিরাপত্তারমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই বুধবার রাত থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে যাত্রী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিমানবন্দরের মূল ফটক এবং ড্রাইভওয়ে গেইটে যাত্রী ও যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এতে যাত্রীদের ‘কিছুটা ভোগান্তি’ হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করতে বুধবার রাতে সমন্বিত বৈঠক হয়।
এছাড়া বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন করে সিকিউরিটি ও ডিউটি পাসও ইস্যু করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।