আমি যেন এক লাল গোলাপ, ফুটেছি সে আমি, বিকশিত আমি, সেই আমি যদি ঝরে যায়. হারাবে তুমি, জিতেছি সে আমি।
বর্তমান হালের একজন নামডাক ওয়ালা অভিনেত্রী সানি লিউন! তবে সব ছাড়িয়ে সেই একজন পর্ণো অভিনেত্রী। সে এখন আমাদের স্বনামধন্য(!) গুটি কয়েক বহুল প্রচারিত পত্রিকার বিনোদন পাতার আলোচিত মুখ। তার নাম নিতে পত্রিকাগুলি একবার পর্ণো শব্দটি জিকির করে। “পর্ণো” শব্দটি একবার না নিলে বিনোদন পাতার সম্পাদকের পেটের ভাত হজম হয়না! রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়!
**এই “পর্ণো” শব্দটি নিয়ে পড়া বিব্রত কর অবস্থার বর্ণনা আপনাদের জন্য দিলাম**
ভার্সিটির হল ছেড়ে ফ্লাট বাসায় উঠি।
অনেকদিন একি ফ্লাটে থাকার সুবাদে পাশের ফ্লাটের ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রের সাথে মাঝে মাঝে কথা হত। সেই আমাকে ভাইয়া বলে ডাকত। একদিন ছেলেটি প্রশ্ন করলো,
ভাইয়া, সানি লিওনকে চিনেন?
আমি বললাম, হা।
আবার প্রশ্ন করল: পর্ণো কি?
কোন মতে উত্তর দিলাম, এটা এক ধরনের ছবি।
আপনি কখনো দেখেছেন?
উত্তর দিলাম, না।
পাল্টা প্রশ্ন, কোন ধরনের?
কি থাকে ওখানে গোয়েন্দা কাহিনী?
জাফর ইকবাল সারের কিশোর উপন্যাসের মত!
উত্তর দিলাম, এই রকমই মনে হয়।
আমাকে স্তম্ভিত করে দিয়ে বললো, আমিও দেখিনি আপনিও দেখেননি।
তাহলে একটা পর্ণো মুভি নিয়ে আসেন আমরা একসাথে দেখবো!!
রাগে, ক্ষোভে আর লজ্জায় শেষ পর্যন্ত ধমক মারতে হল।
তবে প্রশ্ন হল, পত্রিকার পাতায় এই ধরনের গুটি কয়েক শব্দ বা নিউজ বাদ দিলে কি পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে? পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কি কমে যাবে? অনলাইন নিউজ পোর্টালের কথা তো বলার মত না। অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছি অনলাইন নিউজ পোর্টাল না বলে চটি নিউজ পোর্টাল বলা উচিত।
এমন একদিন আসবে বাচ্চারা দোকানে গিয়ে পর্ণো মুভি চাইবে?
নতুন প্রজন্মকে কি আমরাই অংকুরে বিনষ্ট করে দিচ্ছি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।