তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
দলের নেতারা জানান, গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা হচ্ছে। তারপর সেখানেই প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি টেবিল কালো কাপড়ে সাজিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীরাও জড়ো হতে শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। পল্টন মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন। তার মৃত্যুর খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
হাসপাতালে জোহরা তাজউদ্দিনের স্মৃতি স্মরণ করে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তার মৃত্যুতে কেবল দলের নয় পুরো দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আর আমি একজন আপনজনকে হারালাম। ”
বিকালে আসরের পা গুলশানের আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজায়
তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ফারুক খান, ফজলে নূর তাপসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ এ সময় বলেন, “বঙ্গন্ধু নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি ছিলেন জোহরা আপা।
তিনি দেশ ও দলকে মনেপ্রাণে ভলবাসতেন। তার স্বপ্বই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তার মৃত্যুতে দেশ ও দলে অপূরণীয় এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো। ”
পরিবারের সদস্যরা জানান, জোহরা তাজউদ্দিনের ছেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি ফিরলে রোববার বনানী কবরস্থানে স্বামী তাজউদ্দিন আহমদের কবরেই শায়িত হবেন জোহরা তাজউদ্দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।