আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দশম নির্বাচন ইতোমধ্যেই হাস্যকর ব্যাপার হয়েছে

দশম জাতীয় নির্বাচন ইতোমধ্যেই হাস্যকর ব্যাপার হয়েছে। ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যা মোট সংসদ সদস্যের প্রায় ৫২ শতাংশ। দেশের মোট ভোটেরও প্রায় তাই। মানে পুরোপুরি হাস্যকর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গত বৃহস্পতিবার আরটিভিতে 'সংসদ নির্বাচন সমাধান কি দশমে নাকি গড়াবে একাদশে' শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, সাবেক সচিব সা'দত হোসাইন, অধ্যাপক আমেনা মহসীন ও বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে, সরকার বিস্ময়কর আচরণ করছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এভাবেই দশম নির্বাচন হবে।

সমঝোতা হলে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সমাধান করা হবে। পুরোপুরি বিভ্রান্তিমূলক কথা। বিরোধী দল কি অনুগ্রহের দাস যে মেনে নেবে? এ ছাড়া সেই সমাধান কবে হবে? এক মাস পরে নাকি পাঁচ বছর পরে। তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এখানে রাজনীতি আছে।

অন্যদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সংকটের সমাধান করতে চাইলে কত সময় লাগবে? উভয় পক্ষের আন্তরিকতা থাকলে এক-দুই দিনে করা যেতে পারে। যদি এখন না হয় তাহলে একাদশেও সেটা পারা যাবে না। সরকার নির্বাচন করছে জেদে, অহংকারে। মান্না বলেন, সংকটটি ক্ষমতা নিয়ে।

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নয়। ব্যক্তিগত থাকতে পারে কিন্তু রাজনীতিতে যা হচ্ছে সেটা রাজনৈতিক চিন্তা থেকেই, দুই নেত্রীর ক্ষমতা নিশ্চিত করতে। আমি না থাকলে পরিবারকে বসাতে হবে। এত সহিংসতা, অস্থিরতা দেশের অর্থনীতি কতদিন ধারণ করতে পারবে? অর্থনীতি, শিক্ষায় যে ক্ষতি হবে তা কীভাবে মোচন করা যাবে? ১৬ কোটি মানুষের সমস্যা। এ রাজনীতির পরিবর্তন করতে না পারলে ইতিহাস নিষ্ঠুর।

দুই নেত্রীকে এ জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। দুজনের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দুই নেত্রীর হাতে দেশ নিরাপদ নয়। পরিবারের দ্বন্দ্বে পুরো দেশের গণতন্ত্র আজ ধ্বংসের মুখে। আর্মি এলেও কোনো সমাধান হবে না।

পাকিস্তান আমল থেকে কোনোটার স্বাদই আমাদের কাছে ভালো ছিল না। বিকল্প রাজনৈতিক উত্থান এ সংকটের সমাধান করবে। দেশের কেউ দুই নেত্রীকে চায় না। আমাদের বড় সমস্যা তার সমাধান পাচ্ছি না। জাতিসংঘের মহাসচিব পারছেন না।

তাদের সমস্যা তারাই উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করবেন- এই আশা করি।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।