আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি একজন গার্মেন্স ব্যাবসায় আমি এখনো আত্মহত্যা না করে যে ভাবে বেেচ আছি!

সব কথা বলা যাবে, সত্যটা বলা যাবে না।

রাস্তায় কাভার্ড ভ্যানে আগুন।
বুকের ভেতরা পুড়ে ডৎযাচ্ছে ধাউ ধাউ করে।
বায়াররা আসছে না আমার অফিসে...
আমি ঘড়ির দিকে তাকাই টিক টিক
হঠাৎ শ্রমিকের বেতন দিতে হবে দ্বিগুন
প্রতিমাসে ১০ তারিখের মাঝে
সুতার দোকান মেশিনের দোকান
কাপড় সাপ্লাইাংর আমাকে ফোন দেয়
আমি বাসায় ফিরি না, খাবার আমার সামনে নষ্ট নয়।
আমার গলা দিয়ে যে খাবার নামে না।


টিভিতে দেখি আওয়ামীলীগের ৩ জামাতের ২ বিনপির ১
সবাই নিহত। ওরা মানুষ হিসাবে মরে না। মরে আওয়ামীলীগ, জামাত, বিনপি হয়ে।
৩০ লাখ শহিদ রক্ত দিয়ে গেছে পতি পাঁচ বছর পর পর একটি করে নতুন যুদ্ধ দেখার জন্য। যে যুদ্ধ করব আমার সাথে আমি।

আমাকে আমি হত্যা করব কুপিয়ে, গুলি করে অথবা পশুর মত পিটিয়ে।

সকালে বন্ধ ফ্যানটার দিকে তাকাই। শীঁতকাল ওর কোন কাজ নেই সুধু ঝুলে আছে। আমি কেন একটা চাদর দিয়ে গলাটা পেচিয়ে ঝুলে পড়তে পারি না। আমি মরে গিয়ে বাচতে চাই।

দেখতে চাইনা গার্মেন্সে আগুন।
চাইনা বেতনের জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা শ্রমিক। আমি মরে বাচতে চাই।

শনিবার শ্যামলির মানসিক হাসপাতালে গেলাম।
তারা বলল, আপনি ডিপ্রেশনের রুগি।

তিন রকমের ওষধ দিলেন।
আমি ওষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মৃত্যুর মত শীতল সেই ঘুম।
দশ দিন পর আবার যেতে বলেছেন। হয়ত বেচে থাকলে যাব নয়ত
মাথার কাছের ডাইরিতে লিখে যাব যে কথা গুলো-
৭১ সালে দেশ স্বাধীন হল।

ভারত তার সৈনিকের তাজা রক্ত দিয়ে
আমাদের পাশে দাড়াল। ভারতীয় সৈনিক মরল আমাদের দেশ পুড়ল আর আমরা পেলাম একটি দেশ, বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ভারতের মাটিতে পা দিয়ে প্রথম বুঝতে পারলেন বাংলাদেশ এখনো পুরোটা স্বাধীন হয়নি। ভারতীয় সৈনিকরা আছে বাংলাদেশের মাটিতে। এদেরকে দেশ থেকে সরাতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর তীক্ষবুদ্ধির জোড়ে ভারতীয় সৈনিকরা বাংলাদেশ ছাড়ল।
বাংলাদেশ পুরোপুরি স্বাধীন। এই স্বাধীন বাংলাং এলেন আমাদের জাতির পিতা। একাই দাড়া কারালেন দেশটাকে।

জাতীর পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আপনি।

আপনার শাশোন আমলে আমরা ভারতকে হারিয়ে গার্মেন্স রপ্তানিতে ২য় হলাম।
কিন্তু এখন???
অনেকে বলে আমরা অরাজকতাকে ভারত পুজি করছে।
আপনি ১৬ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের লাভক্ষতি ভারত দেখবে আপনি দেখবে বাংলাদেশ।
আর তার জন্য সর্বচ্চত্যাগ আপনিই করতে পারেন।



অথচ সব আজ শেষ হবার পথে।
শেয়ার মার্কেট নামতে নামতে অস্ত যাচ্ছে।
গার্মেন্স এমন হলে কি হবে?
অনেকে অনেক খারাপ ইঙ্গিত করে আমাদের মেয়েদের নিয়ে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাদের মেয়েরা না খেয়ে গলায় দড়ি দিবে।
তারা ইজ্জত হারাবে না।


কারণ মরে যাওয়া অর্থ হল বেচে যাওয়া।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কেন ক্ষমতা ধরে রাখবেন।
ক্ষমতা আবার আপনার পেছনে ঘুরবে।
আমরা আপনার জন্য আবার ফুলের মালা নিয়ে অপেক্ষা করব।
আমাদের সেই সুযোগ দিন।

স্যালুট বঙ্গবন্ধু কন্যা। আমাদের সম্মানের সাথে বাচার অধিকটুকু ফিরিয়ে দেওয়র জন্য।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.