আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(ছবি ব্লগ) জাফর ইকবাল স্যারের জন্মদিনে রাত ১২.০১ মিনিটে স্যারের সাথে কেক কাটলাম (ছবিব্লগ)

যেখানে কিছুই পাইনি সেখানে হারাবার কিছুই নেই.............

রাত ৮টার দিকে তুষার ভাইয়াকে ফোন দিলাম। বিশেষ কোনো উপলক্ষ না এমনি।
তুষার ভাই, "হৃদয়, জাফর স্যারের জন্মদিন কাল। আমরা কয়েকজন যাবো তার বাসায়। রাত ১২টায় তার সাথে কেক কাটবো।

তুমি যাবা?"



বাসায় কেউ নাই। সবাই দেশের বাড়ি গেছে। আমি আর দ্বিতীয় বার ভাবলাম না। বললাম কোথায় আসতে হবে? তুষার ভাই বললো শাহবাগ আসো। ফুল কিনতে হবে।

কেকও কেনা লাগবে। তুমি শাহবাগ এসে বুলবুল এর সাথে যোগাযোগ করো।

আর কথা নাই। কোনো রকম ড্রেস টা পাল্টাইয়া দিলাম দৌড়........ তখনো ডিটেইলস জানি না। শুধু জানি যাচ্ছি।

শাহবাগ গিয়ে জানলাম যে আমরা ৬-৮জন যাচ্ছি। তবে স্যারের সাথে কন্টাক করা সম্ভব হয়নি। স্যারের স্ত্রী বলেছেন এই অবরোধের মধ্যে এতো রাতে আসার কি দরকার। কিন্তু আমাদের তো আর থামানোর যো নেই। আমরা যাবোই।

শুরু হলো কেনাকাটা।


প্রথমেই কেকের দোকানে...


অনেক খুজেও কেক পাচ্ছিলাম না। ডা পাচ্ছিলাম তাও বাজেটের বাইরে। শেষে একটা পেলাম মোটামুটি দামের মধ্যে। টাকায় কি আসেযায়? আমরা কেক নিচ্ছি এটাই বড়


কেকের ছবি।




ফুল ও কেনা হয়েছিলো।


কেক প্যাকেট করা কম্পিট


দোকানের সামনে। বাসে যাবো নাকি সি এনজি তে যাবো সিদ্ধান্ত চলছে।


অবশেষে সি এনজির মধ্যে..... এক সিএনজি তে ৬জন।


সি এনজি থামলো স্যারের বাসার সামনে।




কথাবার্তা চলছে। জদি আমরা না যেতে পারি তবে সারা রাত বাসার সামনে থাকবো এমন প্রয়াস।


কিন্তু আমাদের আসার কথা শুনে স্যার তার ছেলে এবং মেয়েকে পাঠালেন আমাদের রিসিভ করার জন্য। তারা আমাদের উপরে নিয়ে গেলো। এর পর ফটো তোলা শুরু......


সিংগেল ফটো..... প্রথমেই স্যারের সাথে আমি


স্যারের সাথে এই ভাইয়াটার নাম মনেনাই।




এবার অয়ন


ডাক্তার ইমরান ভাইকে যথেষ্ট ভাগ্যবান বলতে হবে।


রাশেদভাই এর সাথে


বুলবুল ভাই


যেখান থেকে ইতিহাস লেখা হয়


যেখান থেকে ইতিহাস লেখা হয়


কেকের সামনে আমি অয়ন আর তুষার ভাই


কেক কাটার আগ মুহুর্ত।


এবার কেক খাওয়ার পালা স্যার নিজের হাতে আমাদের সবাই কে কেক ভাইয়ে দিয়েছেন। প্রথমেই তুষার ভাই।


এরপর বুলবুল ভাই।




এবার অয়ন।


আমি


সহধর্মিনী কে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন


আমরাই অর্ধেক কেক শেষ করে দিয়েছিলাম


ছেলে মেয়ে নিয়ে স্যারের পরিবার।


স্যারের ফ্যামিলির সাথে আমরা সবাই।


স্যার ও তার স্ত্রী এর সাথে আমি। (আমি অবশ্যই ভাগ্যবান)


স্যারের স্ত্রী অনেক আদর করলো।

ওনার সাতে ভিন্ন একটা ছবি তুলতে ভুল করলাম না।


স্যারের ছেলে ও মেয়ের সাথে। (স্যারের মেয়ে কে দেখে ভাবছিলাম ৮-৯ এ পরে মনহয়। জিজ্ঞেস কারলাম আপু কিসে পরেন। সে বললো আমি পি এইচ ডি বরতেছি।

আমি তো টাস্কি!!! এতুটুকুন মাইয়া পি এইচ ডি করে। ছেলের নাকি অলরেডি পিএইচ ডি কম্পিট )


বিদায় নেয়ার আগ মুহূর্তে।



বলার অপেক্ষা রাখে না এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা স্বরনীয় দিন। স্যারের জন্মদিনে তার বাসায় তার সাথে কেক কাটা যে কোনো মানুষের জন্যই স্বপ্নের ব্যাপার। একটা মজার কাহিনী দিয়ে শেষ করি.....

লামীয়া আপুর সাথে আমার গত রাত ৪টার দিকে স্যারের বাসা থেকে ফেরার পর কথোপকথন (চ্যটিং) ......

লামীয়া আপু:- হৃদয়, তুই মইরা যাহ ভাই।


আমি:- কেনু, কেনু??? আমি কি কইচ্চি?
লামীয়া আপু:- জীবনে যা পাওয়ার তার থেকেও বেশি পেয়ে গেছিস। তোর আর বাচার দরকার নাই
আমি:- কি পাইচি???

লামীয়া আপু:- জাফর ইকবাল স্যারের মতো একজন মানুষের বাসায় গেছোস, তার পাশে দাড়াইয়া ছবি তুলছোস, তার হাতে কেক খাইছোস, তার ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলছোস, তাদের সাথে আড্ডা দিছোস। মোট কথা একটা মানুষের এরথেকে আর বেশি কিছু পাওয়ার দরকার নাই। সো তোর আর বাচারও দরকার নাই। তুই মইরা যাহ

আমি:- আমারে তুমি ইনবক্সে গুল্লি কইরা মাইরালাও




আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

টোটাল ব্লগ টা লিখতে ৩ঘন্টার মতো টাইম লাগছে। কিন্ত তার পরও খারাপ লাগছে কারন আপনাদের সবার সাথে এই আনন্দ ভাগাভাগি করার লোভ টা সামলাতে পারছিলাম না। শুভ কামনা সবার জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।