আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়দিনের উৎসবে মাতল কলকাতাসহ গোটা রাজ্য

"জিঙ্গল বেলস, জিঙ্গল বেলস/জিঙ্গল অল দ্য ওয়ে'' এই সুরেই গোটা বিশ্বের সঙ্গে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যবাসী পালন করছে বড়দিন। এদিন কলকাতার গির্জাগুলো সেজে ওঠে রঙিন আলোকমালায়। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল, জোড়া গির্জা, আর্মেনিয়াম চার্চ সহ চার্চ ও গির্জাগুলিতে শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। সঙ্গে সাজানো হয় মডেলের মাধ্যমে যিশুর জন্মের কাহিনী।

শুধু খ্রিস্ট ধর্মালম্বী মানুষই নয়, সমস্ত সমপ্রদায় ও ধর্মের মানুষই মহাউৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করছে।

কেক থেকে সান্তাক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি থেকে ঘর সাজানোর সরঞ্জাম, সোনালি-রূপালি ছোট-বড় বল, তারা, চাঁদ এবং অবশ্যই লাল-সাদা টুপি সবই দেদার বিকিয়েছে।

আজ সারাদিন ধরেই গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় দুই দিন আগে থেকেই সেজেছে রং-বেরঙের আলোর সাজে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতেও সকাল থেকেই তিলধারণের জায়গা নেই। কেকের দোকানে ছিল লম্বা লাইন।

নিউ মার্কেটের 'নাহুম' হোক কিংবা পার্ক স্ট্রিটের বিখ্যাত 'ফ্লুরিজ' সব দোকানেই তুমুল ব্যস্ততা কেক বিক্রিতে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও মঙ্গলবার রাতে কলকাতার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চে বিশেষ উপাসনায় যোগ দেন। এসময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিত কর পুরকায়স্ত, সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রায় একঘণ্টা সময় কাটান সেখানে।

বড়দিনের উৎসবের আমেজে গা ভাসাতে এদিন সকাল হতেই ভিড় জমিয়েছিলেন চিড়িয়াখানায়, জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিলেনিয়াম পার্ক, ভিক্টোরিয়া সহ দর্শণীয় স্থানগুলিতে।

কেউ বেরিয়েছিলেন খোলা আকাশের নিচে পিকনিক করতে, কেউবা কেউ বা আবার লম্বা ড্রাইভে বেরিয়ে পড়েছিলেন।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।