আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

By the People , For the People , Of the People .

প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই , যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।

গণতন্ত্র নিয়ে সবচেয়ে সুন্দর এবং যথাযোগ্য
সংজ্ঞাটি দিয়েছিলেন বিখ্যাত
দার্শনিক আব্রাহাম লিঙ্কন ,
সংজ্ঞাটি ছিল -

'Government,
By the People,
For the people,
Of the people.'

অর্থাৎ জনগণের জন্য ,জনগন দ্বারা , জনগন কর্তৃক নির্বাচিত ব্যাক্তি বা বস্তুই সরকার ।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের নতুন
সংজ্ঞাটি হয়ে গেছে এরকম ,

'Government ,
Bye the people ,
Far from people ,
Off the people .'

অর্থাৎ জনগন থেকে বিদায় নিয়ে , জনগন
থেকে দূরে সরে গিয়ে , জনগনের অংশগ্রহনকে বাধাগ্রস্থ করে ।

প্রথমেই আসি ক্ষমতাসীন সরকার প্রসঙ্গে । মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও গদি ছাড়তে নারাজ ।

ভাবটা এমন যেন গদি ছাড়লে আগামি বিশ বছরেও আর গদি ফিরে পাবে না । তার উপর বিনা প্রতিদ্বন্দিতাতে যাচ্ছে নির্বাচনে । দেশ তো গৃহযুদ্ধের মুখে পতিত হতে যাচ্ছে ।

প্রধান বিরোধী দল ও কম যায় না । দমে যাওয়ার পাত্র নয় তারা ।

লাগাতার অবরোধ দিয়েই চলেছে । দাবি না মানা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবেই তা বোঝা ই যাচ্ছে । তার উপর নির্বচন আসছে , জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান আমি ।

এরশাদ কাগুর কথা আর কি বলব ! সকালে লীগ , বিকালে বিএনপি । দলবদলের পালা তে এত দ্রুত তো ফুটবল খেলার মাঠেও ফুটবলার বদলি হয় না ।

দেশ চালানোর সামর্থ্য আছে নাকে সন্দেহ ।

হেফাজতে ইসলাম যখন মাথা তুলে দাঁড়ালো , ভেবেছিলাম ইসলাম কায়েম করা ও ইসলামি দাবি দাওয়া ই প্রধান উদ্দেশ্য । কিন্তু যখন হেফাজতও রাজনীতির স্বাদ আস্বাদন করার ইচ্ছা প্রকাশ করল আমি তো স্তম্ভিত হয়ে গেলাম ।

রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে সমগ্র শাহবাগ যখন উত্তাল হল তখন মনের মাঝে একটু হলেও আশার আলো দেখেছিলাম । ভেবেছিলাম যে হ্যা , স্বাধীনতার ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও সচেতন নাগরিক কমে নি এখনও ।

এখনও তরুনদের রক্ত সেই '৫২ আর '৭১ এর মত উত্তপ্ত ই আছে , শীতল হয়ে যায়নি এতটুকু ও । ভেবেছিলাম এবার হয়ত দেশে পরিবর্তন আসবে , দেশের উন্নয়ন আসবে । কিন্তু সে ভুল ধারনা ভাঙ্গল যখন দেখলাম গণজাগরন মঞ্চ শুধু পাকিস্তান ইস্যুতেই ব্যাস্ত । রাজাকারদের ফাঁসি নিয়েই চিন্তিত । অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা ই নেই ।



যেভাবে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করা হয়েছিল সেভাবে কি আমরা পারতাম না সরকারী দল আর বিরোধী দলের নেত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে আমাদের দাবি পেশ করতে ? একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির আবেদন করতে ? আমরা কি পারতাম না মানুষ মারার রাজনীতি বন্ধ করে সমঝোতায় আসার জন্য অনুরোধ করতে ? ককটেলের আঘাতে যারা মারা যাচ্ছে , বেঁচে থেকেও যারা না বেঁচে থাকার মত হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে তাদের জন্য কি একটু ও মায়া হচ্ছে না আমাদের ? শাহবাগীদের মধ্যে এমন কি কেউ নেই যাদের আত্মীয় স্বজন রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার ? তাদের জন্য হলেও তো আমরা একটা দিন আন্দোলন করে বলতে পারি , 'আর না । অনেক হয়েছে , বন্ধ কর এবার রাজনীতির নামে নৃশংস উন্মাদনা !' বেশি না , মাত্র একটা দিন ?

আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে কি উদ্দেশ্যে গণজাগরন মঞ্চ গঠিত , তাই এর চেয়ে বেশি কিছু তো তাদের কাছ থেকে আশা করা শোভা পায় না , আসলে এর থেকে বেশি আশা করার অধিকার ও হয়ত আমজনতাদেরও নেই ।
আগে দেশ বাঁচাও , দেশ বাঁচলে বহু রাজাকারদের ফাসি হবে , বহু যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হবে ।
দেশ বাঁচলে সাগর-রুনি বা বিশ্বজিতের মত মানুষদের অকালে প্রান হারাতে হবে না আর ।

নির্বাচনী সপ্তাহে সবাই নিরাপদে থাকবেন , নিজ দায়িত্বে জানমালের রক্ষা করবেন এই কামনাই করি ।

সবশেষে বলব সবাই সাবধানে থাকবেন । বিনা প্রয়োজনে বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না । প্রয়োজনে বের হলেও আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে রাখুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।