আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি..........

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... প্রথমেই বলি আমি রাজনীতি করি না বা কোন দলের সদস্যও নই। বর্তমান বা চলমান ক্ষমতার দ্বন্দের রাজনীতিকে চরম ভাবে ঘৃণা করি কারণ এই রাজনীতিবিদরা কেউ আমাদের দেশকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসে না তারা ভালবাসে শুধুই ক্ষমতা আর টাকা। কিন্তু বর্তমান অনেক হাইব্রিড রাজনীতিবিদদের বা নেতা থেকে মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে আমার কাছে একজন আলাদা মানুষ মনে হয়েছে। তবে সমালোচকরা আমাকে বলতে পারেন "কেন"? এই প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে আমার জানা নাই। এক কথায় বলতে পারি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বলে মনে হয়।

মানুষের ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে তার মুখের কথায় ও বাহ্যিক আচরণে যেটা নিয়ে এগিয়া যায় সে ভবিষৎতের দিকে। একজন মানুষের (বক্তৃতার) ভাষা প্রয়োগের বা উপস্থাপনার ক্ষমতা অনেকাংশে তাকে সম্মুখ নেতৃত্বে নিয়ে আসে এবং সাধারণ মানুষ তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। আমিও হয়তো তাদের একজন। আমাদের দেশের পুলিশ ভাইয়েরা গত জুনের-২০১২ সালের এক চার্জশিটের তদন্তে দেখিয়েছিল "মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর নিজে মাইক্রোবাসে করে গিয়ে বাস থামিয়ে বাসে আগুন লাগিয়েছেন" আর এবার গত ডিসেম্বরে পুলিশের অভিযোগ মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছেন। তবে শুধু তাই নয় হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার পরদিন আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন এবং একের পর এক মামলায় জড়ানো হচ্ছে মির্জা ফখরুলকে।

সত্যিই অবাক হই.....কোন হিরক রাজার দেশে বাস করছি। পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মতিঝিল থানায় ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সূত্রাপুর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। গতকাল তাঁকে এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও মির্জা ফখরুলকে কেন এত দিন এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে, তা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ কারণে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এটি অত্যন্ত নিচু স্তরের সংস্কৃতি। এটা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোনো ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসবেন না। তরিকুল ইসলামের এই কথা আমি ব্যক্তিগত ভাবে একমত। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ৫৩ বছরের আইন পেশার জীবনে এ রকম কখনো দেখিনি। এর চেয়ে জঘন্য জিনিস কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।

এটা আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ’ সরকারের এই নোংরা রাজনৈতিক খেলা অনতিবিলম্বে বন্ধ হউক...... আমি রাজনীতিবিদদের সাথে নই তবে এই অধিকতর স্বচ্ছ মানুষটির মুক্তির পক্ষে আছি। আমি মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি.....  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.