আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিরঝিলে ঝাঁপিয়ে কিশোরের আত্মহত্যা

ছেলেটির নাম এহসানুল হক তন্ময় (১৬),বাসা ইস্কাটনে। তারা দুজনেই মগবাজারের প্রভাতী উচ্চ বিদ্যা নিকেতনের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মেয়েটির বরাত দিয়ে বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল জানান, দুই সহপাঠীর মধ্যে প্রেম ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে মেয়েটির পরিবার বিয়ে ঠিক করায় তারা এ ঘটনা ঘটায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকালে তারা যার যার বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।

শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে হাতিরঝিলের মাঝখানে একটি সেতুর ওপর থেকে তারা লাফিয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী ও সেতুর ওপরে থাকা কয়েকজন রিকশা ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে বাড্ডা থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভোর পৌনে ৫টার দিকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দেয়। এক পরপরই মেয়েটিও তাকে অনুসরণ করে।
ভোরের আলো আঁধারির মধ্যে মেয়েটিকে পানিতে হাবুডুবু খেতে দেখে সেতুর ওপরে থাকা এক ভ্যানচালক ভ্যানের দড়ি খুলে পানিতে ফেলেন। মেয়েটি সেটি ধরে ফেললে তাকে টেনে পারে নিয়ে আসা হয়।

কিন্তু ততোক্ষণে তন্ময় তলিয়ে যায়।  
এদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার শব্দ পেয়ে ঝিলের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছুটে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা এসে তন্ময়ের লাশ উদ্ধার করে।  
ওসি এমএ জলিল জানান, তারা কেউ সাঁতার জানত না বলে মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে।    
তন্ময়ের বাবা একরামুল হক কামাল একজন ব্যবসায়ী।


তন্ময়ের মা শাহানাজ আক্তার থানায় সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলের সঙ্গে এক সহপাঠীর প্রেমের বিষয়টি তারা আগেই জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু তারা এরকম কিছু করে বসবে, তা তারা বুঝতে পারেননি।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নিউ ইস্কাটন রোডের বাসা থেকে কের হয় তন্ময়। রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাসায় না ফেরায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে রাতেই রমনা থানায় জিডি করেন তারা।
সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তন্ময়ের বাসায় খবর দেয়।

 
বাড্ডার ওসি জানান, মেয়েটির বাসা হাতিরপুল এলাকায়, বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।
প্রাপ্তবয়স্ক না হলেও পরিবারের ইচ্ছায় কয়েক মাস আগে অন্য এক ছেলের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর ‘এনগেজমেন্ট’ হয়ে যায়। আগামী ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হওয়ার কথা।  

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।