আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাস নেই, ট্রেনই যাত্রীদের ভরসা

বিরোধী দলের ডাকা টানা অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। গত কয়েক দিনে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলছে সীমিত পরিসরে। একই সঙ্গে কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। তবে গতকাল ছুটির দিনে বাস ও লঞ্চ চলাচল না করলেও ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

এতে বাস না পেয়ে ঈদযাত্রার মতো সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনের ওপর হামলে পড়েন। বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা না পেয়ে জীবণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে কিংবা ঝুলে ঢাকায় আটকে পড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঢাকার বাইরে পাড়ি জমান যাত্রীরা। অন্য জেলা থেকেও গতকাল ট্রেনযোগে যাত্রীদের রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

এদিকে টানা অবরোধের কারণে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া মানুষজন গতকাল গন্তব্যে যেতে পেরে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। ব্যাংক ছাড়া অন্য সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও গতকাল অবরোধমুক্ত ছিল না।

১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবরোধের ওপর বাড়তি দুর্ভোগ হিসেবে আজ বিরোধী দল হরতাল ডেকেছে। এ অবস্থায় জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় গতকাল থেকেই রাজধানীর উদ্দেশ্যে এবং রাজধানী থেকে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। বাসের বিকল্প হিসেবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গেলেও সব রুটে লঞ্চ চলাচল পর্যাপ্ত ছিল না। শুধু ব্যতিক্রম ছিল কমলাপুর রেলস্টেশন।

অবরোধে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় গতকাল কমলাপুর টিকিট কাউন্টারে সাধারণ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। এমনকি ঈদের সময় যেভাবে মানুষভর্তি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যেতে দেখা যায় গতকালও সেরকম দৃশ্য চোখে পড়ে। জায়গা না পেয়ে যাত্রীদের জীবণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ও দরজায় ঝুলে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। মগবাজারের বাসিন্দা জুবায়ের বলেন, 'অফিসের জরুরি কাজে চট্টগ্রামে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আজ কোনো বাস যাচ্ছে না।

তাই শেষ সুযোগ হিসেবে কমলাপুর স্টেশনে এসেছি। সিট পাইনি, এতে সমস্যা নেই। দাঁড়িয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছি। কিন্তু যাচ্ছি তো। এ যাত্রা অনেকটা ঈদযাত্রার মতো মনে হচ্ছে।

'

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনেই মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। ট্রেনের বগিতে, পা দানি থেকে শুরু করে টয়লেটের দরজায় এমনকি ছাদেও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তবে গতকাল গন্তব্যে যাওয়ার টিকিট পেতেও যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।